খেলাধুলা

আসলে ক্রিকেটে উপভোগ করা যায় না : রেকর্ডগড়া তাইজুল

দারুণ এক ঘূর্ণি ডেলিভারিতে আফগান ওপেনার ইহসানউল্লাহ জানাতকে বোকা বানিয়ে পৌঁছলেন মাইলফলকে, গড়লেন বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্টে ১০০ উইকেট নেয়ার রেকর্ড। এরপর অপর ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটে পেছনে ফেলে দেন মোহাম্মদ রফিককে।

Advertisement

আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে যা কিছু ইতিবাচক ঘটেছে, তা যেন লেখা ওপরের এ কয়েক বাক্যেই। যার কারিগর বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। অল স্পিন আক্রমণ সাজিয়েও আফগান ব্যাটসম্যানদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি বাংলাদেশ দল।

দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করে ফেলেছে সফরকারিরা। এরই মাঝে আনন্দের উপলক্ষ্য হিসেবে এসেছে দিনের প্রথম সেশনে তাইজুলের দুই উইকেট। যার প্রথমটি নিয়ে তিনি দ্রুততম ১০০ উইকেটের রেকর্ডে পেছনে ফেলেছেন সাকিবকে এবং পরেরটায় হয়েছেন বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী

বলা বাহুল্য, আজই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছর পূর্ণ করেছেন তাইজুল। ২০১৪ সালের আজকের তারিখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তার। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় এসেই উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন, আনন্দ নিশ্চয়ই অনেক বেশি তাইজুলের?

Advertisement

কিন্তু না, বাঁহাতি এ স্পিনার নিজের পাঁচ বছরের পথচলাকে উপভোগ করলেও, চাপই দেখেন বেশি। তাই তো দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, ‘(ক্যারিয়ারের) পাঁচ বছরে উপভোগ...আসলে ক্রিকেটে ভাই উপভোগ আসে না সেভাবে। সত্যি কথা যেটা, চাপ সবসময়ই থাকে। আপনি ৫ উইকেট পেয়েও যদি বল করতে যান তারপরও চাপ থাকে। এর মাঝেও ভালো করলে পরবর্তীতে একটু উপভোগ আসে, এই আর কি!’

তবে দ্রুততম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ উইকেট শিকার করে, একদমই যে আনন্দ নেই তাইজুলের মনে- তাও নয়। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘আপনারা সবাই জানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটকে সবচেয়ে সম্মান দেওয়া হয়। তাই এটা ভালো লাগার বিষয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশি হয়েছি। এটাতে সবাই খুশি হবে। ভালো লাগছে আর কি!’

এসএএস/এমএমআর/এমকেএইচ

Advertisement