গাজীপুরের শ্রীপুরের তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামারের সীমানা প্রাচীরে ভেতরে বেশ কিছু গাড়ি খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে এখন ধ্বংস হওয়ার পথে। যুগের পর যুগ সরকারি এসব গাড়ি এই স্থানে পড়ে ধ্বংস হলেও তা রক্ষায় কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এসব গাড়ির প্রকৃত সংখ্যা বা এ সম্পর্কিত তথ্যও সংরক্ষিত নেই তাদের কাছে।
Advertisement
শ্রীপুরের তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামারের তথ্য অনুযায়ী, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান বস্ত্রের প্রধান কাঁচামাল তুলা বন্ধ করে দেয়ায় ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার তুলা চাষ সম্প্রসারণে তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে। বর্তমানে সারাদেশে ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে তুলা চাষ সম্প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১৫২ একর আয়তনের গাজীপুরের শ্রীপুরের কেন্দ্রীয় খামার অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরে এসব খামারের যান্ত্রিক ক্রুটিযুক্ত গাড়িগুলো বিভিন্ন সময় তাদের সংরক্ষণের স্থানের সংকুলান না হওয়ায় তা শ্রীপুরের এই খামারে আনা হয়। তবে এসব গাড়ির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় এখানে খোলা আকাশের নিচে গাড়িগুলো পড়ে রয়েছে যুগের পর যুগ। বর্তমানে এই খামারে খোলা আকাশের নিচে ২২টি যানবাহন ধ্বংস হওয়ার চিত্র পাওয়া গেলেও কাগজপত্র অনুযায়ী গাড়িগুলোর প্রকৃত তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে জিপ, মিনিবাস ও ট্রাক। যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
এ বিষয়ে শ্রীপুর তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন খামারের তুলা কৃষিবিদ জিএম ফরহাদ হোসাইন জানান, খামার প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য খামার থেকে এই গাড়িগুলো এনে এখানে রাখা হয়েছে। তবে এই গাড়িগুলোর বিষয়ে আমাদের কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই। কোটি টাকা মূল্যের এই গাড়িগুলো খোলা আকাশের নিচে পড়ে ধ্বংস হলেও গাড়িগুলোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
শিহাব খান/আরএআর/জেআইএম
Advertisement