দিনাজপুরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে প্রেমিক যুগলকে আটকের ১৫ ঘণ্টা পর কোতোয়ালি থানায় ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় থানায় বিয়ের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। পরে আদালত প্রেমিক যুগলের জামিন মঞ্জুর করেন।
Advertisement
প্রেমিক আল মামুনুর রশিদ সরকার (২৬) ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলী সরকারের ছেলে। আর প্রেমিকা দুলালী পারভীন ( ২৩) একই উপজেলার টেংরিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিন জানান, দিনাজপুরের একটি আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে রাত্রিযাপন করার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা একে অপরকে ভালোবাসেন বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে কোতোয়ালি থানায় ৮ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয় ।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় কাজী আব্দুল গাফফার মিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে মেয়ের খালু মতিউর রহমানের উকালতিতে এই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
Advertisement
স্থানীয় কাজী আব্দুল গাফফার মিয়া জানান, উভয়পক্ষের সম্মতিতে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৮ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে যৎ সামান্য টাকা মেয়েকে বুঝিয়ে দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও একজন জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে নবদম্পতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম রবি জানান, তার উপস্থিতিতে ৮ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক উভয়পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয় ।
তবে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজওয়ানুর রহিম বলেন, থানায় কোনো বিয়ে হয়নি। থানা বিয়ের জায়গা নয়। আমরা প্রেমিক যুগলকে আটক করে আদালতে চালান দিয়েছি।
এমদাদুল হক মিলন/আরএআর/জেআইএম
Advertisement