দেশজুড়ে

না.গঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী প্যানেলের জয়

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে (২০১৫-২০১৬) ১৭টি কার্যকরী পদের মধ্যে সভাপতি, সেক্রেটারিসহ উপরের সারির ১৩টি পদেই সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ আপ্যায়ন সম্পাদক ও তিনটি কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নির্বাচিতরা হলেন সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট এসএম করিম, সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট সোহেল মিঞা, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আল মামুন ভূইয়া, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম তালুকদার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার সিমি, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট শরীফ হোসেন, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সোহেল আজাদ ও সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, অ্যাডভোকেট রাজিয়া আমিন কাঞ্চি।জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের বিজয়ীরা হলেন আপ্যায়ন সম্পাদক পদে এম এইচ আনোয়ার প্রধান, প্রার্থীরা হলেন অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার, অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া ও অ্যাডভোকেট মাইন উদ্দিন আহমেদ রেজা।১৭টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেল থেকেই ১৭ জন করে ৩৪ জন অংশ নেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলা আদালতপাড়ায় অবস্থিত জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে ভোটে ৮৪২ জন ভোটারের মধ্যে ৭৯৯ জন ভোট প্রদান করেন। দিনগত রাত সোয়া ১২টায় ভোট কেন্দ্র থেকে ফলাফল পাওয়া গেছে।প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের এমপিদের মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের ও দুইজন জাতীয় পার্টির। জেলার সবগুলো সংগঠনেও নেই বিএনপির কোনো ধরনের প্রভাব। একমাত্র জেলা আইনজীবী সমিতিতেই ছিল ১৭ পদের মধ্যে সভাপতি সহ ৯ পদে আধিক্য।এ সমিতি ছাড়া অন্য সব জায়গাতেই ছিল ক্ষমতাসীনদের একচ্ছত্র প্রভাব। সে কারণেই জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে অস্তিত্বের মুখোমুখি ক্ষমতাসীন দল ও বিএনপি। ক্ষমতাসীনরা চাইবে যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে। আর বিএনপিও চাইছে অন্তত গত বারের অবস্থান অন্তত অটুট রাখতে।শাহাদাৎ হোসেন/বিএ

Advertisement