প্রসূতি এক নারীকে প্রয়োজন ছাড়া অস্ত্রোপচার করার ঘটনায় শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে যেকোনো অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য সচিবসহ পাঁচজনকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার গোরারবাগ গ্রামের জামাল হোসেন বিপুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ জনকে এ নোটিশ দেয়া হয়।
আগামী সাতদিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ ও নীতিমালা প্রণয়নের পদক্ষেপ না নেয়া হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
নোটিশে বলা হয়, জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা গত ৮ জুন সন্তান প্রসবজনিত বেদনা থেকে নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, রোগীর সিজার অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক। অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। ৯ জুন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তিনদিন পর প্রসূতির আলট্রাসনো করার পর জানানো হয়, জটিলতা ছিল না, এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল না। ১২ জুন প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর প্রসূতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে ১৪ জুন আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়।
চিকিৎসকরা সেলাইতে ক্ষতের বিষয়টি স্বীকার করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তারা অন্য হাসপাতালের দুজন চিকিৎসককে নিয়ে আসেন। ওই চিকিৎসকরা প্রসূতিকে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
২০ জুন বিআরবি হাসপাতালে ভর্তির পর দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। বিআরবি হাসপাতালে সুস্থ হন প্রসূতি। এ হাসপাতালের চিকিৎকরা সুপারিশে বলেন, তার প্রথম অস্ত্রোপচার দরকার ছিল না। সবমিলিয়ে প্রসূতির চিকিৎসায় তার পরিবারের ব্যয় হয় ৫ লাখ টাকা। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২৫ লাখ টাকা দাবি করে নোটিশটি দেয়া হয়েছে ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকতার উদ্দিনকে।
এফএইচ/এসআর/এমএস
Advertisement