অর্থনীতি

ব্যাংকে তারল্য সংকট হবে না : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের অফিসে সুটকেস নেই, টাকা এনে কোথায় রাখব। টাকা ব্যাংকেই থাকবে। কোনো ব্যাংক থেকে টাকা নেয়া হবে না, ফলে কোনো ব্যাংকের তারল্য সংকট হবে না।

Advertisement

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারি সংস্থাগুলোর অলস টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো ব্যাংক নাই, অফিসে সুটকেসও নেই, টাকা এনে কোথায় রাখব। কোনো ব্যাংক থেকে টাকা নেয়া হবে না, ফলে কোনো ব্যাংকের তারল্য সংকট হবে না। ডিপোজিট যেগুলো কনটিনিউ আছে, তা ভাঙা হবে না। আমাদের শুধু জানাতে হবে, যে এখানে তাদের ডিপোজিট আছে। এ মুহূর্তে আমরা ডিপোজিট গ্রহণ করবো কেন?

মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সব জমার বিষয়টি আমাদের সাংবিধানিক চাহিদা। আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন কোম্পানি আমরা করি, সরকার থেকে টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মনে করে এটা তাদের টাকা। তখন তারা সেই টাকা সৎভাবে ব্যবহার করে না। মিটিংয়ের নাম করে বিভিন্ন অনিয়ম করে। এখানে সমন্বিতভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে অনেক বেশি সফলতা পাওয়া যায়। সেজন্য আমরা এটি করতে চাইছি।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এনবিআর যেহেতু রাজস্ব আহরণ করে, তারা মনে করে এটা তাদের হক যে তারা সে টাকা খরচ করবে। তারা একনেকের অনুমোদন নেয় না, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেয় না। এমনকি কোনো কমিটির অনুমোদন না নিয়ে বিরাট বিরাট বিল্ডিং করা শুরু করে। এভাবে কি চলতে পারে? সেজন্য এটি করা হচ্ছে। এতে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। তাদের কাছে যথেষ্ট টাকা রাখা হচ্ছে, তাদের কাছে কোনো প্রজেক্ট থাকলে সেজন্যও তারা টাকা রাখতে পারবে। তাদের যে টাকা এ মুহূর্তে দরকার নেই সে টাকা আমরা সরকারি কোষাগারে নিয়ে আসছি।

সরকারের কোনো বিভাগ থেকে বিরোধিতা পাইনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো বিভাগ থেকে বিরোধিতা করা হয়নি। কোনো কোম্পানি হওয়ার সময় টাকা দেয় সরকার। এগুলোর মালিক সরকার। সরকার মালিক হলে সরকার কি দাবি করতে পারে না যে আমাদের টাকা কীভাবে খরচ হবে সেটা আমাদের জানা দরকার। তাদের বিভিন্ন রকমের বিনিয়োগ রয়েছে। কেউ বিনিয়োগ করেছে সেটি মাঝ পথে থাকলে আমরা তা নিয়ে আসতে পারব না। পাবলিক কোম্পানিগুলোতে আমরা এখনো হাত দেইনি। সেখানে পরিচালনা পর্ষদ আছে, তাই সেখানে ডিসিপ্লিন আছে। আমরা অর্থনৈতিক খাতে ডিসিপ্লিন আনতে চাই। এটা ভেঙে গেলে সরকারি অর্থিক ব্যবস্থাপনা দুর্বল হয়ে যাবে।

এমইউএইচ/এএইচ/এমএস

Advertisement