ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তার নাতি আমান মমতাজ মওদুদ (৩৮)। সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের ছোট ছেলে ছিলেন আমান।বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আমান মমতাজ মওদুদকে কবরে শায়িত করা হয়। এসময় মরহুম আমানের মা হাসনা মওদুদ এবং খালা আসমা এলাহী চৌধুরীসহ আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।এর আগে কুমার নদের তীরে জসীম উদ্যানে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বাবা মওদুদ আহমেদ, মামা খুরশীদ আনোয়ার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শাহ মো. আবু জাফর, তাজওয়ার আওয়ালসহ বিএনপির নেতাকর্মীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে বহু মানুষ অংশ নেন। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল আউয়াল।জানাজার আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মওদুদ আহমেদ বলেন, আমার বড় ছেলে আসিফ আর আমান ছিল আমাদের পরিবারের সান-সাইন (সূর্যের আলো)। ছয় বছর বয়সে আমার বড় ছেলে আসিফ মারা যায়। আর ৭-৮ দিন আগেও আমার আমান ছিল একমাত্র ধন। আমার বিশ্বাস হয় না আজ আর সে নেই। তার নানা-নানী এবং ভাই আসিফের পাশেই তাকে শায়িত করতে এসেছি। তার মরহুম সন্তান আমানের জন্য উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট মাঠে হেলিক্পটার যোগে আমানের মরদেহ আনা হয়। অপর একটি হেলিকপ্টারে মওদুদ আহমেদসহ আত্মীয়স্বজনরা আসেন। পরে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে আমানের মরদেহ গোবিন্দপুর গ্রামের জসীম উদ্যানে নেয়া হয়।উল্লেখ্য, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের ছোট ছেলে আমান ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৫ সেপ্টেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। ঢাকা ও নোয়াখালীতে জানাজা শেষে আমানের মরদেহ দাফনের জন্য ফরিদপুরে আনা হয়।এসএম তরুণ/এমএএস/বিএ
Advertisement