হেডিংলি টেস্টে অবিস্মরণীয় ১৩৫ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে ১ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। এর আগে লর্ডসেও তার ব্যাট থেকে আসে ১১৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। সঙ্গে বল হাতে কার্যকরী অবদান তো রয়েছেই।
Advertisement
ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে আইসিসির টেস্ট অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়েও সে পুরস্কারটা পেয়েছেন স্টোকস। সাকিব আল হাসানকে তিনে নামিয়ে দিয়ে তিনি উঠেছেন দুই নম্বরে। তবে শীর্ষে অবস্থান করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।
অথচ ৮-৯ বছর ধরে ‘বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার’ শব্দযুগল যেন সাকিবের সঙ্গে মিশেই গিয়েছিল। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানে আরোহণ করে এ তকমা পেয়েছিলেন সাকিব। সেই তিনিই এখন শীর্ষস্থান হারিয়েছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে।
এর পেছনে অবশ্য ইনজুরির প্রভাব রয়েছে বড়সড়। গত বছর চোটের কারণে খেলতে পারেননি বেশকিছু ম্যাচ, যা তাকে পেছন দিকে ঠেলেছে র্যাংকিংয়ে। তবে এবার সুযোগ এসেছে টেস্ট র্যাংকিংয়ে নিজের জায়গা দখলের। এরপর আবার ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ থাকবে সে ফরম্যাটেও হারানো মুকুট পুনরুদ্ধারের।
Advertisement
তবে এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন সাকিব। তার ধ্যান-ধারণায় কাজ করে দলের জয়ের পেছনে অবদানের কথা। এতে যদি বেশি অবদান রাখতে পারেন, তাহলে র্যাংকিংও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামনের দিকে আগাবে বলে বিশ্বাস সাকিবের।
আজ (বুধবার) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘র্যাংকিং নিয়ে আসলে আলাদা ভাবার কিছু নেই। সবসময় মাথায় একটা জিনিসই কাজ করে যে দলের জয়ের পেছনে কতটা অবদান রাখতে পারি। সেটি যদি বেশি রাখতে পারি, স্বাভাবিকভাবেই র্যাংকিং তার জায়গাটা আপনা আপনি করে নেবে। এ কারণেই আমার র্যাংকিং নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সবসময় চেষ্টা থাকে দলের প্রয়োজনে ভালো কিছু করার। সেটা কম হোক বা বেশি, সেটি আমার কাছে গুরুত্ব পায় না। সেটা করতে গিয়ে যদি র্যাংকিংয়ে ভালো কিছু হয়, আমি অবশ্যই সেটি নেব।’
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement