দেশজুড়ে

আরিফের রিপোর্ট আদালতে : ঢাকায় পাঠানোর সুপারিশ

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রিপোর্ট দাখিল করে কারা কর্তৃপক্ষ।সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, আরিফের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উন্নত চিকিৎসার জন্য আরিফকে ঢাকা পাঠানোর সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।আদালতের নির্দেশে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে গত বুধবার আরিফুল হক চৌধুরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ওসমানী হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল­াহ আল মামুন জানান, বুধবার আরিফুল হকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইসমাইল পাটওয়ারীকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন অধ্যাপক ডা. আলী আহসান চৌধুরী, ডা. মতিউর রহমান, ডা. প্রমোদ রঞ্জন, ডা. সাহাব উদ্দিন সরকার, ডা. দীপংকর দাস, ডা. রাশেদুন্নবী, ডা. শাহ এমরান ও ডা. আবদুল­াহ আল মামুন।ডা. আবদুল­াহ আল মামুন জাগো নিউজকে আরও জানান, মেডিকেল বোর্ড আরিফের চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে। তার পুরো বডি চেকআপ করা হয়। আরিফের হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাত-পা-কোমর ও ঘাড়ে ব্যথা রয়েছে। ব্যথার জন্য তিনি ঘাড় নাড়াতে পারেন না। তিনি দাঁড়াতে এবং হাঁটতেও পারছেন না।ডা. আবদুল­াহ আল মামুন আরো জানান, আরিফুল হকের মূল চিকিৎসা হচ্ছে প্রতিদিন সকাল ও রাতে থেরাপি দিতে হবে। ওসমানী হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড না থাকায় এখানে তাকে থেরাপি দেয়া সম্ভব নয়। এজন্য মেডিকেল বোর্ড আরিফুল হক চৌধুরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করার বিষয়টি প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে।প্রসঙ্গত, গত রোববার কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠিত হয়। ওইদিন আরিফুল হকের আইনজীবীরা তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আদালতে আবেদন জানান। আদালত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরিফুল হকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। আদালতের এই নির্দেশের ৬৭ ঘণ্টা পর গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত আরিফের বিভিন্ন ডায়গনেস্টিক পরীক্ষা করা হয়।ছামির মাহমুদ/এমএএস/পিআর

Advertisement