বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে মানববন্ধন কর্মসূচির নামে তামাশা চলছে। শিশু ও অভিভাবক মিলিয়ে সর্বসাকুল্যে গোটা ত্রিশেক লোক হবে। ফটোসাংবাদিক ডেকে এনে ফটোসেশন চলছে। তাও করবেন করেন, আপত্তি নেই কিন্তু বলা নেই কওয়া নেই সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে করতে হবে? টানা আধ ঘণ্টা ধরে গাড়ি নিয়ে বসে আছি। নিরাপত্তারক্ষীরাও হাওয়া। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে শিশু একাডেমির ভেতর পাশে গেটের সামনে আটকা পড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এক অভিভাবক। তিনি জানান, কয়েক মিনিট খোঁজাখোঁজির পর নিরাপত্তারক্ষীর দেখা পেলেন, তাকে গেট খুলতে বললে সে অপারগতা জানিয়ে বললো, স্যার অফিসে গিয়ে আলাপ করেন। আমি খুলতে পারবোনা। ওই অভিভাবকের মতো বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করার জন্য একাধিক অভিভাবক অপেক্ষা করছিলেন। তারাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, গত কয়েকমাস যাবৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার একইভাবে হয়রানির ঘটনা ঘটছে। অভিভাবকরা বলছেন, শিশু অভিভাবক ফোরামের ব্যানারে কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহি শিশু একাডেমির কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা এমনটা করছেন। ইতোপূর্বে তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ক্লাস ছুটি দিয়েছেন। শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। সুপ্রীম কোর্ট এলাকা থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নিতে বিজ্ঞ আদালত ১৮ আগস্টে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে শিশু একাডেমি কর্তৃপক্ষও অন্যত্র সরিয়ে নেয়নি কিংবা আদালত থেকেও উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ নিয়ে গত কয়েকমাস যাবৎ মানববন্ধন মিছিল মিটিং করে হাজার হাজার কোমলমতি শিশুর কথা চিন্তা করে বিজ্ঞ আদালতকে সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ জানানো হয়। অভিভাবকরা দাবি করেন, প্রথম প্রথম কয়েক দফায় সাধারণ অভিভাবক ও শিশুরা স্বতস্ফূর্তভাবে সব প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতো। আগে থেকেই ক্লাসে কবে কখন কতক্ষণের জন্য মানববন্ধন কিংবা প্রেসক্লাবের সামনে জমায়েত ও প্রতিবাদ সভা হবে তা জানিয়ে দেয়া হতো। কিন্তু এখনকার কর্মকাণ্ডে বেশিরভাগ শিশু ও অভিভাবক নাখোশ। শিশু একাডেমিতে সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, গিটার, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন বিভাগে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিশু অধ্যয়ন করছে ।অভিভাবকরা বলেছেন, আমরা আন্দোলনের পক্ষে। কিন্তু বর্তমানে প্রায় দিনই অল্প সংখ্যক শিশু ও অভিভাবক নিয়ে যা হচ্ছে তা তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। এমইউ/এসকেডি/পিআর
Advertisement