দলীয় ‘সিম্ফনি’ প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে শিল্পী নূরুন্নাহার পাপার চিত্রকর্ম। রাজধানীর ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হওয়ার প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
Advertisement
সিম্ফনি নামের প্রদর্শনীটি হলো- বাংলাদেশ আর ভারতের কিছু শিল্পীর মিলনমেলা হতে উদ্ভাসিত সুরের মেলবন্ধন। তাই শিল্পকর্মের অনেকগুলোই ভারত ও বাংলাদেশের লোকজ থিম ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। নূরুন্নাহার পাপা তার শিল্পকর্ম প্রদর্শন করবেন যা একইসঙ্গে ওরিয়েন্টাল ধাঁচ ও আধুনিক নকশার ফিউশন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক বিমানবিহারী পদ্মশ্রী উপাধিতে শোভিত করা হয়েছে, ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননাগুলোর মধ্যে একটি এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হবে তার ব্রোঞ্জ এবং মার্বেল ভাস্কর্যগুলোর সাথে সাথে তার এ্যাক্রিলিক চিত্রকর্মগুলোও।
এলহাম হক খুকু বিশেষভাবে অনুসরণ করেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সামাজিক দিকগুলো। জেবুন্নাহার নাঈম তার মোটিফগুলোকে সামাজিক প্রতীকরূপে ব্যবহার করেন এবং সৃষ্টি করেন বাস্তব, অধিবাস্তব এবং বিমূর্ত শিল্পকর্ম। সুব্রত ঘোষ তার তার শিল্পসৃষ্টির জন্য চিত্রশিল্পের মহান ঐতিহ্য এবং ক্লাসিক যুগের ভাস্কর্যগুলোর দিকে পেছন ফিরে তাকান।
Advertisement
জয়দেব বালার কাজ তার ভারতীয় ঢঙে ছবি আঁকার ধাঁচের জন্য সুপরিচিত, বেশিরভাগ শিল্পকর্মগুলিই থিম এবং কাজের ধরণে আধুনিক।
সিমরান কাওয়ালজিৎ সিং লাম্বার মিশ্রমাধ্যমের কাজগুলো ড্রাই প্যাস্টেল, গলিত তার আর তরল আলকাতরা দিয়ে সৃষ্ট। নিশি শর্মা তার ব্যক্তিগত গহনসঞ্চারী অভিজ্ঞতা আর জগৎজীবনের পরিবর্তনশীল অভিজ্ঞতাগুলোকে সরাসরি তার বিষয় করে নেন বিমূর্ত ঘরাণায়।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মধ্যে ভারত থেকে অধ্যাপক বিমানবিহারী দাস, জয়দেব বালা, নিশি শর্মা, সিমরান কাওয়ালজিৎ সিং লাম্বা এবং সুব্রত ঘোষ; আর বাংলাদেশ থেকে, নূরুন্নাহার পাপা, এলহাম হক খুকু এবং জেবুন্নাহার নাঈম।
প্রদর্শনীটি চলবে ৭ সেপ্টেমবর ২০১৯ পর্যন্ত। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
Advertisement
এইউএ/এমআরএম