তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন কারাগারে ডিভিশন (বিশেষ সুবিধা) পাবেন। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।
Advertisement
এদিন উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ব্যারিস্টার মইনুল। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর মইনুলের আইনজীবী মহিউদ্দিন ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ তার ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক তাদের ডিভিশন আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
ব্যারিস্টার মইনুলের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জাগো নিউজকে বলেন, এ মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করতে বলেন। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে আজ তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমরা তার ভিডিশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। গত বছরের ২১ অক্টোবর সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।
Advertisement
এর আগে ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’-এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এমন প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
জেএ/জেএইচ/এমএস
Advertisement