বাজার মধ্যস্থতাকারী (তালিকাভুক্ত কোম্পানি ব্যতীত) প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের করা ৭৮ দশমিক ২১ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
Advertisement
মঙ্গলবার ৬৯৫তম কমিশন সভার মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিএসইসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে এ কমিশন সভা হয়।
অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে বিএসইসি বলছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা বিএসইসির গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তিকে গুরুত্ব দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কমিশন ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
‘যার ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির হার ৭৮ দশমিক ২১ শতাংশ। কিছু অভিযোগের ক্ষেত্রে কমিশন এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। যদি এনফোর্সমেন্ট বিভাগের ব্যবস্থাগ্রহণ এই হিসাবে আনা হয়, তাহলে অভিযোগ নিষ্পত্তির হার ৯২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।’
Advertisement
বিএসইসি জানিয়েছে, কমিশন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ট্রেকহোল্ডারদের বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরীক্ষা করে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পরীক্ষা করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা ৮৮ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৬ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের পরিচালকদের নিয়মবহির্ভূতভাবে নেয়া ৭ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫ টাকা সমন্বয় (আদায়) করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অর্থবছরটিতে ৯৫ কোটি ৩১ লাখ ৩২ হাজার ৯৭১ টাকা সংশ্লিষ্ট ট্রেকহোল্ডারদের কোম্পানি হিসাবে ফেরত আনা হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ২২ কোটি ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪১১ টাকা, জয়তুন সিকিউরিটিজ ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮, সার্প সিকিউরিটিজ ১২ কোটি ১৯ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮২, লতিফ সিকিউরিটিজ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫৮৯, প্রিমিয়ার লিজিং সিকিউরিটিজ ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৩, এস আর ক্যাপিটাল ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬০৭ এবং ইস্টার্ন শেয়ারস্ অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ৪ কোটি ২৭ লাখ ৩ হাজার ৮৭০ টাকা ঘাটতি সমন্বয় করেছে।
অপরদিকে কোম্পানি থেকে পরিচালকদের নিয়মবহির্ভূত ঋণ নেয়া ৫টি প্রতিষ্ঠান তা সমন্বয় করেছে। এর মধ্যে ৪টি ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার এবং একটি সিএসইর ট্রেকহোল্ডার। তবে প্রতিষ্ঠান ৫টির নাম জানায়নি বিএসইসি।
Advertisement
এ বিষয়ে বিএসইসি জানিয়েছে, কোম্পানি থেকে পরিচালকদের নিয়মবহির্ভূত ঋণ নেয়া ডিএসইর ৩টি ট্রেকহোল্ডার ১ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা এবং সিএসইর একটি ট্রেকহোল্ডার ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫৫ টাকা আলোচনা সভার মাধ্যমে সমন্বয় করেছে। আর ডিএসইর অপর ট্রেকহোল্ডার নির্দেশ দেয়ার পর ৪ কোটি ৭০ লাখ ১০ হাজার টাকা সমন্বয় করেছে।
এমএএস/জেডএ/এমএস