জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল ঘিরে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা।
Advertisement
কাউন্সিলের চূড়ান্ত তালিকায় আটজনকে সভাপতি ও ১৯ জনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আজ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর।
সভাপতি প্রার্থী এস এম সাজিদ হোসেন বাবু জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাউন্সিলের জন্য আগে থেকেই আমার প্রস্তুতি রয়েছে। আজ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। আমি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেছি। জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছি। পরে সিরাজগঞ্জের দিকে রওনা দিয়েছি। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে আমি প্রচারণা চালাবো। তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। আমি বেশ সাড়া পাচ্ছি।’
সভাপতি প্রার্থী মাহামুদুল হাসান বাপ্পী বলেন, ‘ইতোমধ্যে সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পাবনায় প্রচারণা চালিয়েছি। এখন ঢাকার দিকে ফিরছি। আগামীকাল চট্টগ্রামের দিকে যাব। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি।’
Advertisement
কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে তারা সরাসরি ভোট দিতে পারবেন কিনা, তাদের ভোটের প্রতিফলন কাউন্সিলে হবে কিনা। আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি। এখানে তারেক রহমানের দৃষ্টি রয়েছে। সুতরাং কাউন্সিল নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। তারেক রহমান নিজেই চান তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচিত হোক।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডালিয়া রহমান বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি পাবনায় প্রচারণা চালাচ্ছি। যেখানে যাচ্ছি মানুষ সাদরে গ্রহণ করে নিচ্ছে। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এখন পর্যন্ত আমার খুলনা এবং বরিশাল বিভাগে যাওয়া হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আশা করি পুরো প্রচারণা শেষ করতে পারবো।’
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তানজিল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।
কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস
Advertisement