ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতিদিনই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে এসব গরু। যদিও গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে সীমান্তে কড়াকড়ি পাহাড়ার কারণে কমে গেছে গরু আসার পরিমাণ। ভারত কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রীসহ রাজনৈতিক নেতাদের কড়া হুঁশিয়ারির পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ হয়নি।চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাখেরআলী ও জোহরপুর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর ও মনোহরপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে গুরু। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতিদিনই গরু আসছে, তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় পরিমাণ কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি সীমান্তেই পদ্মা নদীরে ওপারে ভারত, এপারে বাংলাদেশ। রাতের আঁধারে নদীর ওপারে গরু ভাসিয়ে দিয়ে এপারে তোলা হয়। সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানায়, ভারত থেকে জোহরপুর সীমান্ত দিয়ে তিনি বাংলাদেশে গরু নিয়ে আসেন। নিয়মিত গরু আসলেও সম্প্রতি বিএসএফর কড়াকড়ির কারণে কিছুটা কম গরু আসছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাস্টমস অফিস জানায়, গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ-বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গরু আসে ৫৫ হাজার ৬০৭টি গরু ও মহিষ। ভারত থেকে গরু আনার পর ব্যবসায়ীরা জেলার বিভিন্ন ক্যাটল করিডোরে গরু বা মহিষ নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধ করে তা বৈধ করে নেন। এছাড়া ওই সব গরু-মহিষ থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে দুই কোটি ৭৮ লাখ ৫৭ হাজার ১০০ টাকা।এদিকে, বর্তমান অর্থ বছরের জুলাই পর্যন্ত গরু-মহিষ আসে ৫৬ হাজার ১৭৪টি। আর এসব গরু-মহিষ থেকে সরকার রাজস্ব আয় করে দুই কোটি ৮০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। শুধু জুলাই মাসে গরু আসে ছয় হাজার ৫০৫টি এবং সরকার রাজস্ব আয় করে ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা।অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর পাশাপাশি দেশি গরুও তোলা হচ্ছে। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানি গরুর দাম কিছুটা বেশি।চাঁপাইনবাবগঞ্জ রামচন্দ্রপুর হাটের এক গরু ব্যবসায়ী দুরুল হোদা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার এসে এসব হাট থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।এআরএ/পিআর
Advertisement