‘১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্ররা যে আকাঙ্খা নিয়ে শরীফ কমিশনের শিক্ষা সংকোচন নীতিকে প্রতিহত করেছিল আজও শাসকশ্রেণির কণ্ঠে তার আওয়াজ ধ্বনিত হচ্ছে। পাকিস্তানি শাসকশ্রেণির পরিবর্তে বাংলাদেশি শাসকরা ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু শাসকদের নীতির বদল হয়নি।’বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকের সামেনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট আয়োজিত মহান শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষা খাতে ক্রমাগত বরাদ্দকৃত বাজেট কমছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা সর্বত্রই সরকার শিক্ষার আয়োজনের দায়িত্ব পালন করছে না। বরং শিক্ষার বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করছে। সরকারি উদ্যোগে নতুন স্কুল কলেজ নির্মিত হচ্ছে না। বেসরকারি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চহারে ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে। এর ফলে সমাজের মুষ্টিমেয় ধনীকগোষ্ঠী শিক্ষা পাচ্ছে কিন্তু দেশের বিশাল অংশের সাধারণ মানুষ শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’ বক্তারা আরো বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চলতে হবে নিজস্ব আয়ে শাসকদের এই নীতির ফলে ক্রমাগত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফি বৃদ্ধি হচ্ছে, বাণিজ্যিক কোর্স চালু করা হচ্ছে। গবেষণা খাতে কোন বরাদ্দ থাকছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও নাজুক। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও এখানে সরা বছর ক্লাস হয়না, শিক্ষ নেই, পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই।নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘শিক্ষা দিবসের চেতনা তাই আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। সারা দুনিয়া জুড়েই শিক্ষার উপর পুঁজির যে আগ্রাসন চলছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শিক্ষা দিবসের চেতনা অনুপ্রেরণার উৎস। ধনী-গরিব বৈষম্যহীন সবার জন্য শিক্ষার লড়াইয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট তার লড়াই অব্যাহত রাখবে।’সংগঠনের সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব রুমন এর সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, অর্থ সম্পাদক রুখসানা আফরোজ আশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন প্রমূখ। এমএইচ/এসকেডি/পিআর
Advertisement