বয়স কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা- দুদিকেই আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খানের চেয়ে ঢের এগিয়ে বাংলাদেশের লেগস্পিনার জোবায়ের হোসেন লিখন। কিন্তু যখন কথা হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে সফলতার ব্যাপারে, তখন রশিদের অর্ধেকেও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে টাইগার ক্রিকেটার লিখনকে।
Advertisement
২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। একই বছর শুরু ওয়ানডে ক্রিকেটের পথচলা। পরের বছর ভারতের বিপক্ষে গুগলি জালে বিরাট কোহলি এবং ঋদ্ধিমান সাহাকে বোল্ড করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন লিখন। কিন্তু এরপর আর খুঁজেই পাওয়া যায়নি ২৩ বছর বয়সী এ স্পিনারকে।
অন্যদিকে লিখনের বছরখানেক পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লিখিয়েছেন রশিদ। এরপর থেকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন আফগানিস্তানের ২০ বছর বয়সী এ স্পিন জাদুকর। এরই মধ্যে গড়েছেন নানান রেকর্ড। নিজের ডানহাতের কবজির ভেলকির সাড়া ফেলেছেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বে।
সে তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটে তিনি বেশ নবীন। গতবছর টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর খেলেছেন দেশের দুইটি টেস্টেই। এবার তৃতীয় টেস্ট খেলতে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশে। যেখানে দেখা হয়ে গেল দুই দেশের দুই লেগস্পিনার জোবায়ের লিখন এবং রশিদ খানের।
Advertisement
বয়স কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলায় রশিদের চেয়ে ‘সিনিয়র’ হলেও, ক্রিকেট বিশ্বে তার চেয়ে ‘জুনিয়র’ই বটে লিখন। কেননা জাতীয় দলের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলার পাশাপাশি, সারাবিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই খেলে থাকেন রশিদ। যা সমৃদ্ধ করেছে তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার এবং দিয়েছে আরও ভালো বোলিং করার রসদ।
তাই তো রশিদের কাছ থেকে লেগস্পিনের বিষয়ে পরামর্শ নিতে কোনো ভুল করেননি বাংলাদেশের লিখন। আজ (সোমবার) বিসিবি একাদশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দুইদিনের প্রস্ততি ম্যাচটি ড্র হয়ে যাওয়ার পর, রশিদের সঙ্গে লেগস্পিন বিষয়ে খুঁটিনাটি কথা বলেছেন লিখন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়।
লিখনের আগ্রহ থাকায় তাকে পরামর্শ দিতে কোনো কার্পণ্য করেননি আফগানিস্তানের অধিনায়ক। বরং স্পোর্টসম্যানশিপের পরিচয় দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়েই সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। রশিদের কাছ থেকে লেগস্পিন শিক্ষা হয়তো সামনের দিনে সাহায্য করবে লিখনকে। আর এমনটা হলে আখেরে লাভবান হবে বাংলাদেশেরই ক্রিকেট।
এসএএস/জেআইএম
Advertisement