রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪ শতাংশ কমেছে।
Advertisement
ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৬ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৪৬৯ জনসহ মোট ৮৬৫ জন আক্রান্ত হন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ১৮৫ রোগী। বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৯৩১ জন। ঢাকায় ২ হাজার ১৭৭ জন ও ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৭৫৪ জন ভর্তি রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৯৬২ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬৭ হাজার ৮৪৩ জন।
Advertisement
মহাখালী রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ১৮৮টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়। তার মধ্যে আইইডিসিআর ৯৬টি পর্যালোচনা করে ৫৭ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৮২, মিটফোর্ডে ৫৪, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৯, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৩, বিএসএমএমইউতে ১৮, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ৫, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬, বিজিবি হাসপাতাল পিলখানা ঢাকায় ১, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ৬, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ২৯ ও কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ১, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান পঙ্গুতে ৩ জনসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ২৮৭ জন ভর্তি রয়েছেন।
বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ১০৯ জনসহ ঢাকা শহরে সর্বমোট ৩৯৬ জন ও ঢাকার বাইরের বিভাগীয় হাসপাতালে মোট ৪৬৯ জন ভর্তি হয়েছেন।
ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭২, খুলনায় ১৪৩, রংপুরে ১৭, রাজশাহীতে ৪২, বরিশালে ৬১, সিলেটে ৯ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।
Advertisement
চলতি বছর মোট আক্রান্ত ৭১ হাজার ৯৬২ জনের মধ্যে জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মেতে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ এবং চলতি সেপ্টেম্বরের দুই দিনে ৮৬৫ জন ভর্তি হন।
হাসপাতলে ভর্তি হয়ে মারা যাওয়া ৫৭ ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে এপ্রিলে ২, জুনে ৫, জুলাইয়ে ২৮ এবং আগস্ট মাসে ২২ জনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এনডিএস/এমকেএইচ