ইনসুইং, আউটসুইং এবং বাউন্সার- যেকোনো ফাস্ট বোলার যদি এ তিন জিনিসের একটিও নিখুঁতভাবে করতে পারেন, তাহলে সফলতার সঙ্গেই কাটিয়ে দিতে পারেন পুরো ক্যারিয়ার। আর সেখানে ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ কি-না তিনটি জিনিসই পারেন দারুণভাবে। এর সঙ্গে আবার রয়েছে ভয়াবহ সব ইয়র্কার।
Advertisement
যা কি-না রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে ২৫ বছর বয়সী এ ডানহাতি পেসারকে। বিশেষ করে চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বুমরাহর বিপক্ষে তো জবাবই খুঁজে পাচ্ছে না ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৭ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে ভারতকে বড় জয় পেতে সাহায্য করেছিলেন বুমরাহ।
সে ধারাবাহিকতায় জ্যামাইকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেও। ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করে মাত্র ২৭ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এই ইনিংসে আবার তৃতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে গড়েছেন হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড। যা তাকে এনে দিয়েছে চতুর্মুখী প্রশংসার ঢল।
কিন্তু এমন সাফল্য ও পারফম্যান্সের রহস্য কী? কীভাবে নিয়মিতভাবে দুর্দান্ত বোলিং করে যান বুমরাহ? দুই দিকেই সুইং করতে পারার পেছনের অনুঘটকটাই বা কী?- এসব প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন বুমরাহ নিজেই। তার মতে সিনিয়র বোলারদের কাছ থেকে শেখার আগ্রহ এবং অনেক প্রশ্ন করার অভ্যাসই তাকে ভালো করতে সাহায্য করে।
Advertisement
সংবাদমাধ্যমে বুমরাহ বলেন, ‘আমাদের পেসারদের মধ্যে ইশান্ত বেশি খেলেছে, মোহাম্মদ শামিও অনেক ক্রিকেট খেলেছে। সে তুলনায় আমি দলে নতুন। তাই আমি চেষ্টা করি অনেক প্রশ্ন করতে। আমি তাদের প্রশ্ন করি যে তারা তো এখানে অনেক খেলেছে, কীভাবে করলে ভালো হবে? কন্ডিশন বিরুদ্ধ হলে পরিকল্পনা কেমন করা উচিৎ? উইকেট থেকে সাহায্য না পেলে তখন কীভাবে সাফল্য পেতে হবে? অধিনায়ক-সহ অধিনায়কের সঙ্গেও নানান বিষয়ে কথা বলি। সবার আলাদা পরিকল্পনা থাকে, এসব বিষয় মাঠে অনেক প্রভাব ফেলে।’
এসময় নিজের বোলিংয়ে সুইংয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বেশ টেকনিক্যাল এক বিষয় তুলে ধরেন বুমরাহ। তিনি বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে ডিউক বল দিয়ে বোলিং করতে হয়। এসব বলে অনেক ম্যুভমেন্ট হয়। যা আউটসুইং বা ইনসুইং করতে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে। এই অভিজ্ঞতাটা আমাকে অন্যান্য কন্ডিশনেও অনেক সাহায্য করে।’
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement