কাঠফাটা গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার। সেই ঘাম শরীরে বসে ঠান্ডার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সর্দি-কাশি-জ্বর। সাথে মাথাব্যথা তো আছেই। এমন সমস্যা দেখতে হালকা মনে হলেও আসলে তা নয়। ঠান্ডাজ্বরের সমস্যাও বেশ কষ্টদায়ক। তবে এই জ্বরের কিছু ঘরোয়া সমাধানও রয়েছে। ডাক্তারের কাছে না ছুটে আপনি ঘরে বসেই জ্বর সারাতে পারবেন। সেজন্য যা করতে হবে-
Advertisement
যদি জ্বরের তীব্রতা বেশি হয়, তাহলে মাথায় পানিপট্টি দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমানো যেতে পারে। এই সময়ে, একটি টুকরা কাপড় নীচের পানিতে ভিজিয়ে কপালের উপরে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে সেটি তুলে আবার পানিতে ডুবিয়ে থাকলে সামান্য পানি ফেলে দিন এবং আবার কপালের উপরে ধরুন। এই পদ্ধতিতে কাজ করার সাথে সাথে অনুভব করতে থাকুন। আশা করা যায়, এটা সাহায্য করবে এবং আপনি ভালো ফল পাবেন।
মধু ও তুলসিপাতার মিশ্রণঠান্ডা লেগে জ্বর হলে সেই সমস্যায় মধু বেশ উপকারী। মধু আর তুলসিপাতা গলার কফ পরিষ্কার করে দেয়। সর্দিকাশি হলে প্রতি সকালে মধু আর তুলসিপাতা একসঙ্গে খেয়ে নিন। কাশি সারবে, সঙ্গেও জ্বরও।
আরও পড়ুন:
Advertisement
জ্বরের অস্বস্তি থেকে আদা চা আপনাকে সহজে রেহাই দিতে। শুধু গলার কফ সারাতেই নয়, বুকের কফ পরিষ্কার করতেও আদা চায়ের তুলনা হয় না। আদা চা বানাতে ফুটন্ত পানিতে চিনি দিয়ে ফোটান। চিনি মিশে গেলে চা দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর এতে দিন আদার কুচি। অল্পক্ষণ পর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন চা। চাইলে এতে মেশাতে পারেন লেবুর রস। এটা চায়ের ভিটামিন সি যোগ করে। এই আদা চা খেলে সর্দির সময় মাথা ধরা কমে যায়। একইসঙ্গে দুর্বলতা কেটে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়াশরীরে ভিটামিনের অভাব হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন বাইরের রোগজীবাণু সহজেই শরীরকে আক্রমণ করে। জ্বরও একই কারণে হয়ে থাকে। তাই জ্বর কমাতে হলে বা প্রতিরোধ করতে হলে ভিটামিন খাওয়া জরুরি। অনেকেই শরীরে ভিটামিন পেতে বেছে নেন ভিটামিনস সাপ্লিমেন্টস। কিন্তু সবসময় ভিটামিন সাপ্লিমেন্টস না খেলেও চলে। কিছু কিছু খাবার থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বি সি ইত্যাদি। তাই খাবারের একটি ঠিকঠাক তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন যাতে শরীলে সবধরনের ভিটামিন ঠিকমত প্রবেশ করতে পারে। ভিটামিন শরীরের রোগপ্রতিরোধে অংশ নেয়।
তরল খাবার খাওয়াকফ একবার বুকে জমে গেলে তা বের করা কঠিন। এমনকি ঠিকমতো চিকিৎসা না করাতে পারলে হতে পারে ইনফেকশনও। তাই কোনোভাবেই যেন বুকে কফ বসে না যায়। এজন্য খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ তরল। শুধু পানিই খেতে হবে এমন নয়। বরং চলতে পারে ফ্রুট জুস বা স্যুপ জাতীয় খাবারও। এই তরল কফকে সহজে বুকে বসতে দেয় না। বরং বুকে থাকা কফকে তরল করে দিয়ে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
কুসুম গরম পানিতে গোসলজ্বর হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এটির ফলে আমরা শীত শীত অনুভূত হয়ে থাকি। তাই জ্বর যখন কমে আসে ১০০ ডিগ্রীতে, তখন আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করতে পারবেন। এতে জ্বর কিছুটা কমতে পারে।
Advertisement
সর্দি-কাশি থেকে জ্বর হলে তা অনেকসময় ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। ফলে আপনার থেকে হতে পারে আপনার আত্মীয়স্বজনের। তাই এইসময় জ্বর গায়ে বাড়ি থেকে কোথাও না বেরিয়ে বাড়িতেই বিশ্রাম নেওয়া ভালো। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। এই সময় শরীর যথেষ্ট দুর্বল থাকে। তাই ঠিকঠাক বিশ্রাম নিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের। চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নেওয়ার। ঘুম ভাঙলে দেখবেন, শরীর অনেক চাঙ্গা লাগছে।
এইচএন/পিআর