রাজধানীর মালিবাগ ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল চালক মিলনকে হত্যা করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার নাম নুরুজ্জামান ওরফে অপু ওরফে নুর উদ্দিন ওরফে সুমন।
Advertisement
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট দিবাগত রাতে অপুই মিলনকে হত্যা করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করেন।
রোববার রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে অপুকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানানো হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, অপু হত্যার কথা স্বীকার করেছে। অপু মাদকাসক্ত ও পেশাদার মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
দুই সন্তানের জনক মিলন পরিবারের সঙ্গে মিরপুর-১ গুদারাঘাট এলাকায় থাকতেন। ঋণের বোঝা কমাতে ‘পাঠাও’ চালাতেন তিনি।
সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, গত ২৬ আগস্ট রাত আনুমানিক ৩টার দিকে পাঠাও চালক মিলন এক যাত্রীকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় নামিয়ে দেন। যাত্রী নামানো শেষে মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারে উঠতে আবুল হোটেলের ঢালে গ্রেফতারকৃত নুর উদ্দিন ভিকটিম মিলনকে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে গুলিস্তান যাবে বলে ৫০ টাকায় ভাড়া ঠিক করেন। ফ্লাইওভারের সবচেয়ে উপরের সড়কে পৌঁছালে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন নুর উদ্দিন। মোটরসাইকেল থামানোর পর নুর উদ্দিন মিলনকে বলেন তিনি মোটরসাইকেল চালাবেন। এতে মিলন রাজি না হয়ে বলেন আপনাকে আমি কেন মোটরসাইকেল চালাতে দেব? এভাবে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। সুযোগ বুঝে নুর উদ্দিন অ্যান্টিকাটার দিয়ে মিলনের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে ফ্লাইওভারে রেখে মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে চলে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব ঘটনা বলেছেন নুর উদ্দিন।
আবদুল বাতেন বলেন, এ ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় মামলা হলে তদন্তে নামে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। ঘটনাস্থলে ছিল না কোনো সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, কেউ ঘটনা দেখেনি। ঘটনাটি রাতের নির্জনে হওয়ায় এমন ক্লুলেস ঘটনায় অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করাটা ছিল খুবই কঠিন। কিন্তু ডিবি পুলিশ সেই কঠিন কাজটি সফলতার সাথে করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২ সেপ্টেম্বর রাত ৩টায় শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে মিলনের ব্যবহৃত একটি স্যামসাং জে-৫ মোবাইল সেট, দুটি হেলমেট ও ডায়াং ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন নিরাপদ। চুক্তিতে না গিয়ে অ্যাপসের মাধ্যমে রাইড শেয়ার করা উত্তম। সেজন্য সব নগরবাসীকে সচেতন হয়ে পথ চলতে হবে।
এআর/এনএফ/এমকেএইচ
Advertisement