ক্লাস থেকে ল্যাব, ল্যাব থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা। কারও রক্তের প্রয়োজনে দৌড়ে যাওয়া। সবকিছুর সঙ্গে বিভাগের ল্যাবে নিয়মিত চলেছে গবেষণা। এসব কাজে একসঙ্গে ছিলেন সামিউল ইসলাম ও রাজিয়া সুলতানা মৌ। এর সুফলও পেয়েছেন মাস্টার্স শেষ না হতেই। চীনা সরকারের স্কলারশিপে তারা পিএইচডির সুযোগ পেয়েছেন দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হুয়াজং এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে।
Advertisement
সামিউল ইসলাম ও রাজিয়া সুলতানা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে সদ্য মাস্টার্স শেষ করা এই দম্পতি আগামী চার বছর চীনের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করবেন।
হুয়াজং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকিউলার প্ল্যান্ট প্যাথলজি বিভাগে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে কিভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইডের মাধ্যমে ধান, গম, ভুট্টা, আলুর ছত্রাকজনিত রোগকে দমন করা যায় সে বিষয় নিয়ে গবেষণা করবেন সামিউল।
আর রাজিয়া সুলতানা বিশ্ববিদ্যালয়টির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে রাইবোজিয়াম নামক ব্যাক্টেরিয়ার জিনোম সিকুয়েন্স পরিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভিদ অভ্যন্তরে সিগনালিং কৌশল আবিষ্কারের বিষয়ে গবেষণা করবেন।
Advertisement
২০১১-১২ সেশনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন তারা। লেখাপড়ায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম ছিলেন সামিউল। পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংক গোল্ড মেডেলও। রাজিয়া ছিলেন ষষ্ঠ। বিভাগের অধ্যাপক ড. আশাদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সামিউল ও অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ শিকদারের তত্ত্বাবধানে থিসিস করেন রাজিয়া। এরই মধ্যে সামিউলের ৯টি এবং রাজিয়ার ৭টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রসিদ্ধ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে সামিউল-রাজিয়া দম্পতি বলেন, সারাবিশ্বে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে। আর সেই সমস্ত স্কলারশিপ পেতে হলে নিজের পঠিত বিষয়ে বিস্তর জ্ঞান থাকা চাই এবং সেই সঙ্গে গবেষণার বিষয় সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে দক্ষতা, গবেষণাপত্র, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেনিং, কনফারেন্সে উপস্থিত থাকাটাও আবশ্যক। এগুলো দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ পেতে সহায়তা করে।
সালমান শাকিল/আরএআর/পিআর
Advertisement