জাতীয়

নুরের স্মাটকার্ডের বিষয় খতিয়ে দেখছে ইসি

কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ কীভাবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেলেন, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) সেকশন।

Advertisement

রোববার রাতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক মো. আবদুল বাতেন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। আজ ভোর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হন নুর মোহাম্মদ। রোহিঙ্গা হলেও বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তার স্মার্ট এনআইডি কার্ড ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল বাতেন বলেন, ‘নুর মোহাম্মদ কীভাবে স্মার্টকার্ড পেলেন, সেটার ইনকোয়ারি (তদন্ত) হবে। এগুলো আমরা ভেরিফিকেশন করব। ইতোমধ্যে নুর মোহাম্মদের বিষয়টা আমাদের আইটি সেকশন দেখছে।’

নুর মোহাম্মদ কীভাবে স্মার্টকার্ড পেলেন, আইটি সেকশন সেটা বের করতে না পারলে এ নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

আবদুল বাতেন বলেন, ‘স্মার্টকার্ডে একটা সুবিধা আছে। যে যাই করুক না কেন, সেটার রেকর্ড থাকে। এটা ধরা পড়বেই। ডাটাবেজে যে তথ্য আছে বা ফিল্ডে আপলোডার আপলোড করে থাকে– এগুলো দেখে আইটি সেকশন বের করতে পারলে ভালো। বের করা না গেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’

কোনো নির্বাচনি কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের ভোটার করলে চাকরিচ্যুতি ছাড়া আরও সাজা ভোগ করতে হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগেও চট্টগ্রামে দুজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছে। এ বিষয়ে এনআইডির পরিচালক বলেন, ‘আমরা এখানকার ডাটাবেজ দেখব এবং ওখানকার ডাটাবেজও দেখব। কী পদ্ধতিতে এটা করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত আছে– যেকোনো মূল্যে এটা বের করা হবে।’

এ জন্য ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইসি সচিবালয়ের টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের নিয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। পুলিশও আলাদাভাবে এ নিয়ে তদন্ত করছে বলেও জানান আবদুল বাতেন।

Advertisement

রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে ইসির নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে আবদুল বাতেন বলেন, ‘আইডি কার্ড নিয়েছে, এই সংখ্যা খুব বেশি নয়। রোহিঙ্গা প্রবণ ৩২টি উপজেলায় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ কমিটি করা আছে। এই ৩২ উপজেলায় যেই ভোটার হোক না কেন, নির্ধারিত দুই নম্বর ফরমের বাইরেও একটা বিশেষ ফরম পূরণ করতে হয় তাদেরকে। সেখানে বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রীর বাইরেও নানা-নানি, দাদা-দাদি, মামা-মামি, চাচা-চাচিসহ পুরো পরিবারের ইতিহাস দিতে হয়। একজন বাংলাদেশি হলে সে সব দিতে পারবে। কিন্তু রোহিঙ্গা হলে সবকিছু ঠিকমতো দিতে পারবে না।’

পিডি/এমএসএইচ