ক্যাম্পাস

বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি ভাবনা উঠে এলো ডাকসুর সভায়

দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি ভাবনা ও স্বাধীনতার গান’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্বরের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

ডাকসুর সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের উপচার্য ও ডাকসুর সভাপতি ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক, জিএস গোলাম রব্বানী, এজিএস মো. সাদ্দাম হোসেন বক্তব্য রাখেন।

বঙ্গবন্ধু দেশের সংস্কৃতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেসব অবদান রেখেছেন তা তুলে ধরেন বক্তারা। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি বলেও আখ্যা দেন।

Advertisement

উদ্বোধনী বক্তব্যে আয়োজকদের স্বাগত জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতির ভাবনা কেমন ছিল তা আমরা জানতে পারি যাদি আমরা মুক্তিযুদ্ধের গানগুলোর দিকে নজর দেই। জাতির পিতা সেই রকম গান পছন্দ করতেন যেই গানে স্বাধীনতার কথা রয়েছে, যেই গানে ভাষার কথা রয়েছে। উদার নৈতিকতা ও মানবিকতায় বঙ্গবন্ধু উৎসাহ দিতেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির মানুষ। কিন্তু তার আরেকটি জগৎ আছে, সেটা হলো তার সাংস্কৃতিক ভাবনার জায়গা, ভাষা ভাবনার জায়গা, শিল্প ভাবনার জায়গা। আমাদের সামনে এখন দুটি বই আছে- অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা। তার এই বইগুলো দেখলে আমরা নতুন একজন লেখক বঙ্গবন্ধুকে আবিষ্কার করতে পারি। তিনি প্রথম সারির লেখক ছিলেন।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক ভাবনা কেমন ছিল তা অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ করলেই বোঝা যায়। তিনি এফডিসি প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্পকলা একাডেমি আইন প্রবর্তন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি শিল্পীদের বিপ্লবী গান গাওয়ার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক ভাবনা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তিনি ভিন্ন মতের মানুষকে শ্রদ্ধার সাথে দেখতেন। বর্তমানে আমাদের দেশের রাজনীতির বড় অভাবগুলো তাঁর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

Advertisement

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানে ‘স্বাধীনতার গান’ পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, ব্যান্ড অর্জন, প্রভাতফেরী, ব্যান্ড বাংলার গান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা সিকদার, রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, মু. মাহমুদুল ইসলামসহ বিভিন্ন হল সংসদের নেতারা।

এনএফ/জেআইএম