আইন-আদালত

হাইকোর্টে জামিন চেয়েছেন ঘুষ নেয়া দুদকের সেই বাছির

ডিআইজি মিজানের কাছে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কারাবন্দি পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

Advertisement

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ জামিন আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাছিরের আইনজীবী এমএম জামাল হোসেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আজ (রোববার) জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

ঘুষ লেনদেনের মামলায় গত ২৩ জুলাই এনামুল বাছিরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে জেল কোড অনুযায়ী তাকে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

Advertisement

৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় এনামুল বাছিরসহ পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়। ফরেনসিক পরীক্ষায় ঘুষ লেনদেন নিয়ে তাদের কথোপকথনের অডিও’র সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। এরপর গত ২২ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৩ জুলাই এনামুল বাছির বিচারিক আদালতে এ মামলায় জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন আদালত। বিচারিক আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে আবেদন করলেন এনামুল বাছির।

দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের ‘দায় থেকে বাঁচার জন্য’ ডিআইজি মিজানুর অসৎ উদ্দেশ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে খন্দকার এনামুল বাছিরকে ‘প্রভাবিত করেন’ বলে অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে।

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মিজানকে। এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান গত ৮ জুন দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির।

Advertisement

এর স্বপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক।

এফএইচ/আরএস/জেআইএম