চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে বিজয় গ্রুপ ও সিএফসি গ্রুপ। রোববার দুপুরে বিজয় গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এবং সিএফসি গ্রুপ শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় দু‘পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় সিএফসি কর্মী শোয়াইবুর রহমান কনক আহত হন।
Advertisement
কনক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। তারা উভয় পক্ষকেই বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, দুপুরে বিজয় গ্রুপের সদস্যরা সোহরাওয়ার্দী হলে ঢুকতে চাইলে সিএফসি গ্রুপের সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের সদস্যরাই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান নেয়।
Advertisement
এদিকে ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের উত্তেজনায় সকাল থেকে কোনো ক্লাস, পরীক্ষা হয়নি। দুর্বৃত্তরা শাটল ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয়ায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া অছাত্র ও হামলার পরিকল্পনাকারী চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত চবি ছাত্রলীগের একাংশ যে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে সেটাও অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী আহত হন।
বিবাদমান দুটি পক্ষ হচ্ছে, বিজয় ও সিএফসি গ্রুপ। তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী। বিজয় পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এইচএম তারেকুল ইসলাম ও সিএফসি পক্ষে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।
Advertisement
জানা গেছে, মধ্যরাতে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে এ সংঘাতের এ সূত্রপাত। যা পরে আলাওল ও এএফ রহমান হলেও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে এক রাউন্ড গুলি বর্ষণের শব্দও শোনা যায় বলে জানা গেছে।
রাকিব/এফএ/জেআইএম