জাতীয়

অবৈধ ক্ষমতার হাত ধরে বিএনপির জন্ম : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির জন্মটাই হয়েছে একটি অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের হাতে ধরে। জিয়াউর রহমান অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে, উচ্ছিষ্ট নেতাদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, আজকের বিএনপির বড় বড় নেতাদের বেশির ভাগই দল করতেন। অন্য দল থেকে দলছুট হয়ে তারা বিএনপিতে গেছেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দফতরে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও একইসঙ্গে ৪২ বছরে পর্দাপণ করেছে; এ জন্য বিএনপিকে আমি অভিনন্দন জানাই। তবে গত ৪১ বছরের পথচলায় তারা ক্ষমতা দখল করছে। আবার ক্ষমতায় গিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে কিন্তু দেশকে তারা সুশাসন দিতে পারেনি। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শুধু দুর্নীতি, দুঃশাসন নয় দেশ জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। হাওয়া ভবন তৈরি করে সেখান থেকে সমান্তরাল সরকার গঠন করা হয়েছিল এবং বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির চাকাকে বিএনপি ঘূর্ণীয়মান চাকাতে রূপান্তরিত করেছিল। অর্থাৎ অগ্রগতির চাকা ধাবমান গতিতে সামনের দিকে যাচ্ছিল না, চাকা এক জায়গায় ঘুরছিল। আর গত সাড়ে ১০ বছরে বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে পেট্রলবোমা, সন্ত্রাসআশ্রয়ী ও জঙ্গিনির্ভর রাজনীতি করেছে। এটি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। কখনও একটি রাজনৈতিক দলের জঙ্গিআশ্রয়ী রাজনীতি করা উচিত নয়।

তিনি আরও বলেন, গণমানুষের জন্য যারা রাজনীতি করেন তাদের কোনোভাবেই এভাবেই জঙ্গিনির্ভর রাজনীতি করা উচিত নয়, যেটি বিএনপি করেছে। আমি আশা করব ভবিষ্যতে বিএনপি জঙ্গিনির্ভর, সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতি পরিহার করে গণমানুষের কাতারে পৌঁছানোর জন্য রাজনীতি করবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি বরবারই দোষারোপ করা, আশা করব এটাও তারা পরিহার করবে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী লীগের জনসভায় হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেবকে হত্যা করেছে। প্রকাশ্যে জনসভায় হামলা চালিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আহসানুল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছে।

‘২১ আগস্টে সমাবেশ করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হলেও ২০ আগস্টের মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেয়। এটা ছিল পুরোপুরি গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার অংশ’।

Advertisement

এমইউএইচ/বিএ/পিআর