জাতীয়

কনকর্ডের ১৮ তলা ভবন এতিমখানাকে দেয়ার নির্দেশ

রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের তৈরি করা ১৮ তলা (টাওয়ার) ভবন এতিমখানাকে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কনকর্ড এর দখল বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই বিল্ডিং হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন আদালত।বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ চার দফা নির্দেশনা দিয়ে এই রায় ঘোষণা করেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার। এতিমখানার সুপারিনটেনন্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক।পরে মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে জানান, আদালত এতিমখানা রক্ষায় চার দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।নির্দেশনাগুলো হলো :ক. আজিমপুর এতিমখানার সম্পত্তি সংরক্ষণ করতে হবে ।খ. এতিমখানার সম্পত্তি হস্তান্তর সম্পর্কে ২০১৩ সালের ২২ জুলাইয়ের দলিল এবং ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিলের আমমোক্তার নামা দলিল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ সেগুলো শুরু থেকেই বাতিল ছিল।গ. এতিমখানার জায়গায় কনকর্ডের তৈরি ১৮ তলা ভবন এতিমখানার পক্ষে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।ঘ. কনকর্ডকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্থাপনা ও সম্পত্তি এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৯০৯ সালে ঢাকার নবাব ‘সলিমুল্লাহ এতিমখানা’ স্থাপন করে এবং পরবর্তী সরকারের নিকট থেকে আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সময় জমি লিজ নিয়ে পরিচালনা করেন ।গত ২০০৩ সালের ২২ জুলাই এতিমখানার সভাপতি শামসুন্নাহার ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জি এ খান আহসান উল্লাহ এতিমখানার ২ বিঘা জমি ডেভলাপার কোম্পানি কনকর্ডের কাছে হস্তান্তর করেন ।এতিমখানার সম্পত্তি অবৈধ হস্তান্তর সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পায়। পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তা সংযুক্ত করে চারজন ছাত্রের পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করেন মনজিল মোরসেদ।পরবর্তীতে উক্ত রিট পিটিশনে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষভুক্ত হয়।রিট আবেদনে বলা হয়, এতিমখানার সম্পত্তি সরকারে নিকট থেকে লিজ নেওয়া এবং লিজ চুক্তিতে এতিমখানার সম্প্রসারণের জন্য বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং শর্ত ছিল প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ব্যাতীত অন্য কোনো কাজে জমি ব্যবহার করা যাবে না।তা সত্ত্বেও এতিমখানার সভাপতি ও সেক্রেটারি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হয়ে এতিমখানার সম্পত্তি কনকর্ড গ্রুপের নিকট হস্তান্তর করেছিলেন।এফএইচ/এসকেডি

Advertisement