ভারতের আসাম রাজ্যের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম। রাষ্ট্রপরিচয়হীন এতগুলো মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির অনেকে। এনআরসিকে ইস্যুকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরোধিতা শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এসব দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
Advertisement
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষ তো মানুষই। ওদের তো আর আকাশে ওড়ানো যাবে না। আমরা যদি তাড়িয়ে দিই তাহলে কোথায় যাবে? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কি কথা হয়েছে? তাহলে কি এদের রোহিঙ্গাদের মতো নো ম্যানস ল্যান্ডে কেটে ফেলে দেয়া হবে? এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ভারত সরকারকে।’
এনআরসি ইস্যুতে চটেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যায় টুইট করে বিজেপিকে উদ্দেশ করে তিনি লিখলেন, ‘রাজনৈতিক লাভ তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি বিপর্যয়। দেশকে জবাব দিতে হবে তাদের। দেশ ও সমাজের স্বার্থ পরিহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করলে এমনটাই ঘটে।’ মমতা আরও লিখেছেন, ‘বাংলাভাষী ভাইবোনদের জন্য খারাপ লাগছে। জাঁতাকলে পড়ে ভুগতে হয়েছে তাদের।’
এর আগে এনআরসি নিয়ে যে খসড়া হয়েছিল সেই তালিকায় বাদ পড়েছিল ৪১ লাখ মানুষের নাম। তখন থেকেই আলোড়ন শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে বহু প্রকৃত ভারতবাসীর নামও এই খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়া হয়। শনিবারই ছিল সেই সময়সীমার শেষ দিন।
Advertisement
এসআর/পিআর