আন্তর্জাতিক

এবার পশ্চিমবঙ্গ-দিল্লিতে নাগরিক তালিকা?

ভারতে চলতি বছরের লোকসভা ভোটের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলায়ও নাগরিক তালিকা হবে। অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাড়ানো হবে। ভোটে জিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গদিতে বসে অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি বিদেশি মুক্ত করা হবে।

Advertisement

শনিবার আসামে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি প্রকাশের পরেই পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তেলঙ্গানাসহ বিজেপির রাজ্য নেতারা নিজের নিজের রাজ্যে এনআরসি চালুর দাবি তুলেছেন। কংগ্রেসসহ বিরোধী দলের নেতারা মনে করছেন, বিজেপি এনআরসিকে সামনে রেখে অর্থনীতির দুরবস্থা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করবে, মেরুকরণের রাজনীতি করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ২০২০ সালে এনপিআর বা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার চূড়ান্ত হবে। তা আগামী দিনে পুরো দেশে এনআরসির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাবেন। তবে নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে হিন্দু অনুপ্রবেশকারীদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেওয়া হবে।

আগামী বছর দিল্লির বিধানসভা ভোট। তার আগে এনআরসির দাবি তুলে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারির দাবি, দিল্লিতে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তাই এখানেও এনআরসি দরকার। একই সুরে তেলঙ্গানায় বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা রাজা সিংয়ের দাবি, তেলঙ্গানাতেও এনআরসি হোক।

Advertisement

আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়েছেন। পুরো দেশে এনআরসি চালু প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার তৈরি করে ফেলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

কোনো এলাকায় যারা গত ছয় মাস ধরে রয়েছেন, তাদের নাম ও অন্যান্য তথ্য রেকর্ড করা হবে। এই এনপিআর তৈরি হলে তার ভিত্তিতে আসামের আদলে পুরো দেশে এনআরসি তৈরি হতে পারে।

টিটিএন/পিআর

Advertisement