দেশজুড়ে

পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন শামীম ওসমানের ছেলের সম্বন্ধী

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের সম্বন্ধী মিনহাজ উদ্দিন ভিকিকে (২৮) গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ভিকির বিরুদ্ধে এমপি পুত্রের প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সেক্টর দখল করে বেড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। ভিকি গ্রেফতারের সংবাদে বিভিন্ন মহলে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে শহরের টানবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মিনহাজ উদ্দিন ভিকি ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার ফয়েজ উদ্দিন লাভলুর ছেলে। তারা বর্তমানে নগরীর টানবাজার এলাকায় বসবাস করেন।

এর আগে ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে চাষাড়ার মোড়ে ভিকি ও তার বন্ধু মিলন এক সিএনজি চালককে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। এ সময় তারা ওই সিএনজিটিও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় সিএনজি চালক মিলন বাদী হয়ে মামলা করেন।

Advertisement

সূত্রমতে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান ভিকির বোনকে বিয়ে করার কিছুদিন পর থেকে ভিকির আসল রূপ প্রকাশ পায়। অয়ন ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে শহর ও ফতুল্লায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম শুরু করেন তিনি। গামেন্টের ঝুট থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরে ভিকির তাণ্ডব চলে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে অয়ন ওসমানের আত্মীয় বলে নিজেকে পরিচয় দেন। আর অয়ন ওসমানও তাকে মূল্যায়ন করেন।

ভিকির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে ২৯ মার্চ জামতলায় এক প্রবাসীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এছাড়া ১৯ জুন পাটের বস্তা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার হেফাজত থেকে পাটের বস্তা উদ্ধার করতে পারলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এছাড়াও গাবতলীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পিচ্চি মিজানকে শেল্টার দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমন বহু সন্ত্রাসীদের লালন পালন করে বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি।

ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর এনাম ভিকির গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক সিএনজি চালককে পেটানো এবং সিএনজি ভাঙচুরের অভিযোগে ভিকির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সকল ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শাহাদাত হোসেন/এফএ/পিআর

Advertisement