রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, রফতানি বাণিজ্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি রফতানিকারকদের নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
জাতীয় রফতানি ট্রফি বিতরণ- ২০১৯ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। আজ রোববার রফতানি ট্রফি বিতরণ করা হবে।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ২০১৬-১৭ সময়ে জাতীয় রফতানিতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ কৃতী রফতানিকারকদের রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে এ উদ্যোগ একদিকে যেমন রফতানিকারকদের উৎসাহিত করবে, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় রফতানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠান দেশের কৃতী রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রাপ্য মর্যাদা প্রদানে সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। এর ফলে দেশের অন্যান্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
Advertisement
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রফতানি খাতের অবদান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করেছে। নতুন প্রেক্ষাপটে আমাদেরকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। রফতানি বাণিজ্যে টিকে থাকার জন্য পণ্যের মান উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি, বর্তমান বাজারকে সুসংহত করা এবং নতুন নতুন পণ্য রফতানি তালিকায় যুক্ত করতে হবে। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই শিল্পায়নের প্রসার ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে রফতানিকারকদের সম্মাননা ও জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে সম্পূর্ণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিশন- ২০২১ এবং ভিশন- ২০৪১ এর আলোকে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করছেন। জাতীয় রফতানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠান সফল হোক- এ কামনা করি।
এমইউএইচ/এমএসএইচ
Advertisement