জামালপুরের ডিসির আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। তার মতে, ভিডিওটি ছড়িয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মাত্রা অতিক্রম করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনবে’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের খাস কামরায় সংঘটিত ঘটনায় কারও দোষ থাকলে বিচার প্রত্যাশিত হলেও ওই ভিডিওটি যারা ছড়িয়েছেন, তারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মাত্রা অতিক্রম করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এটাকে ভাইরাল করেছে, খুব একটা সুরুচির পরিচয় দেয়নি। সংস্কৃতিবান ব্যক্তি কিন্তু সংযমী হন। কতখানি সে করতে পারে, কতখানি সে করতে পারে না। কার প্রাইভেসিতে যুক্ত করতে পারে আর কতটুকু পারে না সেটাও। আমাদের সংস্কৃতি হয়ে গেছে, কে কাকে কীভাবে জব্দ করবে। প্রযুক্তির ব্যবহারেও জব্দ করার প্রবণতা এসেছে।’
Advertisement
দেশের নারী নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুলতানা কামাল বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার যারা হন, তাদের পরিবর্তে নির্যাতনকারীরা আইনের আশ্রয় পান। নারী নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা গেলে নির্যাতনের হার কমে আসবে।’
সম্প্রতি জামালপুরের ডিসি আহমদ কবীরের সঙ্গে তার কার্যালয়েরই একজন নারী কর্মচারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে জামালপুরসহ সারা দেশের মানুষের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইয়ে যায়।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ায় কেলেঙ্কারির মুখে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে ওএসডি করে প্রশাসন।
জেএইচ/এমএস
Advertisement