ক্যাম্পাস

বঙ্গবন্ধুর ঋণ শোধ করতে তার আদর্শ ধারণ করতে হবে

বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে তার আদর্শ ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক।

Advertisement

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘স্মরণে শপথে ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

মন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ তিনি স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেননি এ কারণে- সেদিন যদি ঘোষণা দিয়ে দিতেন তাহলে সেটি হতো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু প্রমাণ করেছেন তিনি কোনো অপরাধ করেননি। অন্যায়কারী ওরা (পাকিস্তানিরা)। সে জন্য বিশ্বজনমত আমাদের পক্ষে ছিল। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন সরকার আমাদের সমর্থন দেয়নি তারপরও ওইসব দেশের জনগণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছে। এটাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে দূরদর্শী কূটনৈতিক সফলতা।

Advertisement

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, হত্যাকারীরা জানত বঙ্গবন্ধুর রক্তের ছিটেফোটাও যদি থাকে তাহলে তাকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ওদের আশঙ্কা যে সঠিক ছিল সেটা প্রমাণ করে নাই? আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ দেশের জনগণ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করে ধর্মীয় রাজনীতি চালু করে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের উচ্চপদে পদায়নের জন্য বিভিন্ন দূতাবাসে সুযোগ করে দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুর খুনে মদতদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনার কথা বলে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান সমস্ত কর্মকাণ্ডে প্রমাণ রেখেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি। বঙ্গবন্ধুকে যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু খুনে যারা সহায়তা করেছে, সেদিন পাকিস্তান দূতাবাস ও মার্কিন দূতাবাস সারারাত খোলা ছিল। সেগুলোর কারণ উদঘাটনের জন্যই আজকে দাবি উঠেছে কমিটি গঠন করে, তদন্ত কমিশন করে বঙ্গবন্ধুর খুনের মদতদাতা কারা এদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সফল রাষ্ট্রনায়ক ৪৭ বছর পর যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারেন এ বিশ্বাসও আমরা রাখি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদতদাতাদেরও বিচারও বাংলার মাটিতে হওয়া সম্ভব।

অ্যালমানাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাস উদ্দীন, কবি নির্মলেন্দু গুণ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

Advertisement

বিএ/এমএস