জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেহলাম উপলক্ষে রংপুর গিয়ে কবর জিয়ারত করার সময় কাঁদলেন তার স্ত্রী, পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপ-নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
Advertisement
এ সময় আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ও মাটিতে শুয়ে আছে কেন, ওকে ওঠাও। ওকে মাটি থেকে উঠাও, মাটি থেকে তোল। আমি ওর পাশে শুয়ে থাকতে চাই। ও যদি না আসে তাহলে আমাকেও ওর পাশে শুইয়ে রাখ।’
এমন কথা বলার পাশাপাশি ডুকরে কাঁদতে থাকেন সাবেক এই ফার্স্ট লেডি। তখন পাশে থাকা দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা তাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলেন।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে মরহুম সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারতের সময় এমনই দৃশ্য দেখে সেখানে উপস্থিত সবাই নীরবে চোখের পানি ফেলেন।
Advertisement
এর আগে হেলিকপ্টারযোগে রংপুর পৌঁছেন রওশন এরশাদ। পরে স্বামীর কবর জিয়ারত শেষে এরশাদের স্মৃতিবিজড়িত পল্লীনিবাসে যান তিনি।
বাদ জোহর দোয়া মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য রংপুর মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা সভাপতি এসএম ফখর উজ-জামান জাহাঙ্গীর, সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকা প্রমুখ।
পরে এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর প্রধান, পাঁচবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ (৮৯) ১৪ জুলাই ইন্তেকাল করেনে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ২৬ জুন শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪ জুলাই থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ১৪ জুলাই তিনি সেখানেই ইন্তেকাল করেন। এরপর প্রথমে তাকে ঢাকার বনানীতে সামরিক কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু জানাজার জন্য তার মরদেহ রংপুরে নেয়া হলে স্থানীয় হাজার হাজার জাপা নেতাকর্মীর দাবির মুখে নিজের প্রতিষ্ঠিত পল্লীনিবাসেই দাফন করা হয় সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে।
Advertisement
জিতু কবীর/এমএমজেড/এমএস