মৌলভীবাজারে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বড়লেখা উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের প্রয়াত রমনি দাসের ছেলে কৃষক রনজিত দাস (৫০) ও তালিমপুর ইউনিয়নের সরুয়ামাঝি গ্রামের মরহুম নূর উদ্দিনের ছেলে সিএনজি অটোরিকশাচালক আলী আছকর (৪৫)।
Advertisement
অপরদিকে দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের চুকারপুঞ্জি এলাকার ছড়া থেকে উদ্ধারকৃত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ সবার মরদেহ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের সরুয়ামাঝি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিকশাচালক আলী আছকরের মরদেহ বাড়ির পাশের আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। শনিবার সকালে তাকে খুঁজতে গিয়ে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকায় একটি গাছের ডাল থেকে রনজিত দাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগের রাত দুইটার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে তিনি আর ফেরেননি। শনিবার সকালে তাকে খুঁজতে গিয়ে নদীর পাড়ে একটি বরুণ গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার পরিবারের লোকেরা।
Advertisement
অন্যদিকে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের চুকারপুঞ্জি এলাকার মাধবছড়া খাল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় নারীর ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম অজ্ঞাতনামা নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তিনটি পৃথক অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
রিপন দে/এমএমজেড/এমকেএইচ
Advertisement