ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে কাশ্মীরের কারগিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু শনিবার সকালে যখন আসাম সরকারের চূড়ান্ত নাগরিকত্ব তালিকা (এনআরসি) প্রকাশ পেল তখন তিনি দেখলেন, তিন সন্তানসহ তার নাম সে তালিকায় নেই। অর্থাৎ তিনি ভারতের নাগরিক নন।
Advertisement
তার নাম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনী জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) ছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। যখন তাকে আসাম সরকার নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ হয়ে তাকে বন্দিশিবিরে প্রেরণের ঘোষণা দেয়।
খসড়া নাগরিক তালিকায় তার নাম না থাকায় বিতর্ক ওঠে, তখন মনে করা হয়েছিল চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে হয়তো আর বাদ পড়বেন না তিনি। কিন্তু শনিবার সকালে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকাতেও দেখা গেল দুই মেয়ে আর এক ছেলেসহ তার নাম বাদ পড়েছে এনআরসি থেকে। তবে স্ত্রীর নাম রয়েছে।
শনিবার সকালে আসামের জাতীয় নাগরিকত্ব তালিকা বা এনআরসি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ। তবে নাগরিকত্ব প্রমাণে আইনি সুবিধা পাবেন তারা। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আগামী ১২০ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারলে তাদের ঠাঁই হবে শরণার্থী শিবিরে।
Advertisement
সানাউল্লাহ নামের সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কারগিল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট পদকও পেয়েছেন। তাকে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ বলে চিহ্নিত করেছে। ২০৮ সালে প্রথম তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ওঠে যে, তিনি ভারতীয় নাগরিক নন।
গত মে মাসে তাকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়। অবশ্য আসামের গোহাটি হাইকোর্ট থেকে পরে জামিন পান তিনি। তবে তাকে যে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ‘বিদেশি’ বলে তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েছিল সেই আদেশ স্থগিত করেনি হাইকোর্ট।
সুবেদার সানাউল্লাহ ১৯৮৭ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তার বয়স এখন ৫২ বছর। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর এবয় মনিপুরে দায়িত্ব পালনের সময় কারগিল যুদ্ধ এবং যুদ্ধের মতো একটি অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।
এসএ/এমএস
Advertisement