নতুন করে সামর্থ্য প্রমাণের কিছু নেই। সবার জানা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পঞ্চপান্ডবের একজন এবং বাংলাদেশের দলেরও একটা স্তম্ভ। কিন্তু সবশেষ বিশ্বকাপে সময়টা ভাল যায়নি। রিয়াদের ব্যাট কথা বলেনি। সমস্যা ছিল ফিটনেস নিয়েও, কাঁধের ইনজুরির জন্য বল করতে পারেননি কোনো ম্যাচেই।
Advertisement
অতিবড় রিয়াদ ভক্তও হতাশ হয়েছিলেন প্রিয় ক্রিকেটারের পারফরমেন্স ও অ্যাপ্রোচ দেখে। তবে প্রস্তুুতি ম্যাচে রিয়াদ জানান দিলেন, এখন আর কোনো সমস্যা নেই, আমি শতভাগ সুস্থ্ হয়ে উঠেছি, আবার ফর্মে ফিরেছি। তাও শুধু ব্যাট হাতে নয়। বল হাতেও নিজেকে খুঁজে পেয়েছি । আগের দিন ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে প্রথম টেস্টের ১১ জনে থাকার দাবি আরও জোরালো করা রিয়াদ, আজ বল হাতে দেখিয়েছেন পুরনো কারিশমা। তার বোলিংটাও যে এখনও আগের মতই আছে, শনিবার দুপুরে সে সত্যেরই দেখা মিললো। মুশফিকুর রহীমের সবুজ দলের বিপক্ষে মাত্র ৪ রানে তিন উইকেট দখল করেছেন রিয়াদ।
৮.৩ ওভারে ৪ মেডেনসহ মাত্র ৪ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান রিয়াদ। এর মধ্যে মুশফিকের সবুজ দলের নাম্বার ওয়ান ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম, ফরহাদ রেজার উইকেটও আছে (অন্যজন তাইজুল ইসলাম)।
প্রথমবার নেমে ০ রানে আউট হওয়া সাদমানও লাল দলের অধিনায়ক সাকিবের মত দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। তাকে ১৩ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন রিয়াদ। রিয়াদের অফস্পিনে রিটার্ন ক্যাচ তুলে দেন সাদমান। ফরহাদ রেজা ক্লোজ ইন ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দেন আর তাইজুল হয়েছেন বোল্ড। প্রায় একই কথা প্রযোজ্য মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বেলায়ও। এ তরুণ অলরাউন্ডারেরও বিশ্বকাপ ভাল কাটেনি। আগে ভাল খেলে নিজেকে মেলে ধরলেও মোসাদ্দেক বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে ভাল খেলেননি। তাই টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে খানিক সংশয়ও ছিল দুজনার।
Advertisement
কিন্তু নির্বাচকরা ঠিক তাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। সেটা যে অমূলক- তাও না। প্রস্তুতি ম্যাচে রিয়াদ সেঞ্চুরি করে দেখিয়ে দিয়েছেন আমি ফুরিয়ে যাইনি, আছি এখনো। ভাল খেলার এবং রান করার পর্যাপ্ত সামর্থ্য আছে আমার। একই ভাবে আজ (শনিবার) দলের চরম বিপদে এবং অন্যপ্রান্তে কারো ব্যাট কথা না বললেও দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মোসাদ্দেকও জানান দিলেন আমিও ঠিক আছি। শনিবার বৃষ্টি ভোজা সকালে সোয়া ঘন্টা পর শুরু হওয়া দু দিনের প্রস্তুুতি ম্যাচে আজ মোসাদ্দেক আর মুমিনুল ছাড় মুশফিকুর রহীমের সবুজ দলের একজনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি।
পেসার আবু জায়েদ রাহী আর অফস্পিনার রিয়াদের সাঁড়াশি বোলিং আক্রমণে সবুজ দল পড়ে যায় চরম বিপদে। এর মধ্যে মোসাদ্দেক সৈকত একাই লড়ে করেছেন ৫১ রান (৬২ বলে)। বেশ আত্মবিশ্বাস ও আস্থার সঙ্গে আটটি বাউন্ডারি আর এক ছক্কাও হাঁকান মোসাদ্দেক।
এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement