গ্রুপ চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা সমবেত হয়ে বিশাল সমাবেশ করেছে। তারা অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক হতে পারে।
Advertisement
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, দুই বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গা ও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন এবং গণহত্যা শুরু হলে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার তাদের টেকনাফে সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দান করে। আশ্রয় গ্রহণের সময় টেকনাফের এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি ৫০০-১০০০ টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার কর্ণপাত করেনি। কয়েকদিন আগে রোহিঙ্গা আগমনের ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে লাখ লাখ রোহিঙ্গা হঠাৎ করে জমায়েত হয়ে জনসভা করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীও বলেছেন, সরকার এ বিষয়ে কিছুই জানতো না। আমরা গত দু’দিন টেলিভিশনের পর্দায় এক রোহিঙ্গা নেতার স্বাক্ষাৎকারে লক্ষ্য করলাম তিনি মুঠোফোনে বিভিন্ন ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের দেখাচ্ছিলেন এবং সেই নেতা অনলাইন টেলিভিশনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খবর প্রচারের কথা স্বীকারও করেন।
Advertisement
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে দেখতে পেরেছি রোহিঙ্গারা কথা বলা ছাড়াও ৩জি-৪জি সেবা গ্রহণ করছে। সীমান্তের ওপারে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত থাকায় বিষয়টি উদ্বেগজনক। সরকার যদি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ ইন্টারনেটের গ্রুপ চ্যাটিং এর মাধ্যমে দ্রুতই লাখ লাখ লোক সমবেত হতে পারে।
এআর/এসএইচএস/এমএস