জাতীয়

সড়কের শৃঙ্খলায় দুর্বলতা লক্ষ্য করছি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। পদ্মা সেতুর মতো চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দুর্বলতা লক্ষ্য করছি।

Advertisement

শনিবার রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়কে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর বাংলামোটরে ফুটপাতে উঠে গিয়ে ট্রাস্ট পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পা হারান কৃষ্ণা রায়

খালিদ মাহমুদ বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সুপারিশমালা দেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে যদি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, তাহলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।

Advertisement

কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি রোগীর দিক থেকে বলি, তাহলে ভালো নয়। ডাক্তারের দিক বললে, তাহলে বলব- তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে। শুধু এ ধরনের না, বাংলাদেশে এর চেয়েও জটিল রোগের চিকিৎসা হয়। আশা করি, তাকে সুস্থ করতে পারবেন তারা।

বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। যে কেউ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। তারা যদি বিচারের প্রার্থনা করেন, তাহলে নিশ্চয়ই বিচার পাবেন।

তিনি বলেন, যেখানে পথচারী থাকার কথা সেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা অবশ্যই আতঙ্কের বিষয়। সেখানে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে কি না, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল কি-না কিংবা চালক সুস্থ ছিল কি না, সেটা তদন্তের বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষ্ণা রায় আমাদের বিআইডব্লিউটিসির (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন) হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে কনসার্ন (উদ্বিগ্ন)। আমরা তার চিকিৎসার জন্য, তদারকির জন্য যা যা প্রয়োজন, তা করব।’

Advertisement

কৃষ্ণা রায়কে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। এ সময় রোগীর স্বজন ও কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

এইউএ/জেডএ/জেআইএম