দেশজুড়ে

দৌলতপুরে নতুন করে আরও ১৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়ায় প্রায় ৪০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের পর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ নজরদারির পরও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ যাচ্ছে না। শুক্রবারও সেখানে দুইজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

Advertisement

এদিকে ছাতারপাড়া গ্রামকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নতুন করে উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে সাতজন, কমালপুর গ্রামে দুইজন, খলিষাকুন্ডি গ্রামে ছয়জন ও মহিষকুন্ডি গ্রামে দুইজন আক্রান্ত হয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে দৌলতপুরে সরকারিভাবে ৫৭ জন ডেঙ্গু রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও মশা নিধনে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও এডিস মশা ও এর বংশ বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ছাতারপাড়া ও এর আশপাশের গ্রামে প্রতিদিনই পরিষ্কার পরিচ্ছনতা অভিযান, এডিস মশা ও তার লার্ভা নিধনে ওষুধ স্প্রে এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে ও ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ছাতারপাড়া গ্রামে এডিশ মশা ও এর লার্ভা ধ্বংসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। নানা উদ্যোগের পরও নতুন করে উপজেলার অন্যান্য গ্রামের মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে দ্রুত উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল টিম পাঠানোর দাবি এলাকাবাসীর।

Advertisement

আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আনছারী বিপ্লব বলেন, তার ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি এডিস মশার আক্রমণের শিকার হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক সকল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দ পাল বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওই গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল টিম এখানে আসার কথা রয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এডিস মশার বিস্তার রোধে ব্যাপকভাবে স্প্রে ও পরিস্কার-পরিচ্ছনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জনগণের সচেতনতা ছাড়া এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ও এর বংশ বিস্তার রোধ করা খুব কষ্টসাধ্য বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আল-মামুন সাগর/আরএআর/পিআর

Advertisement