রংপুরে আব্দুর রশীদ (১১) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে কুপিয়ে চলন্ত গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর টেক্সটাইল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত রশীদ নগরীর সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া এলাকার শহিদার রহমানের ছেলে।
Advertisement
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, কয়েকদিন আগে রশীদের বড় ভাই মোহনের (৩০) কাছে ৫০০ টাকা দাবি করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোজাফফর হোসেন। তিনি টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করে সন্ত্রাসী মোজাফফর। এ ঘটনার বিচার দাবি করে মোজাফফরের বাবা কামালের কাছে অভিযোগ করেন মোহন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয় মোজাফফর। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে রশীদ টেক্সটাইল মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোজাফফর ও তার সহযোগিরা রশীদকে আটক করে লাঠি দিয়ে পেটায় ও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে রশীদকে চলন্ত একটি গাড়ির নিচে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রশীদ। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রশীদের ফুপু নাজমা বেগম বলেন, আমি জরুরি কাজে টেক্সটাইল মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাই আমার ভাতিজা রশীদকে সন্ত্রাসী মোজাফফর ও তার সহযোগিরা লাঠি আর ছোরা দিয়ে কোপাচ্ছে। আমি দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রশীদকে রক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আমাকে ফেলে দিয়ে রশীদকে কোপাতে থাকে। এ সময় ওই মহাসড়ক দিয়ে একটি বাস আসার সময় সন্ত্রাসীরা চলন্ত বাসের নিচে রশীদকে ফেলে দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
নিহত রশীদের বড় ভাই মোহন অভিযোগ করেন, মোজাফফর এলাকার সন্ত্রাসী। সে আমার কাছে টাকা চেয়েছিল। আমি টাকা দেইনি এবং তার বাবার কাছে বিচার দিয়েছি। এ কারণে আমার ছোটভাইকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রশীদ জানান, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনের আম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে নিহত রশীদের বাবা শহিদার রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জিতু কবীর/এমএএস/পিআর