যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলেজের ছাত্র মাইকেল মিশেল খুন হয়েছিলেন ১৯৭৬ সালে। এই খুনের অপরাধী সন্দেহে ক্যাথি উডস নামের এক নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে সে দেশের আদালত। সেই খুনের শাস্তি হিসেবে ক্যাথিকে ৩৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এর ক্ষতিপূরণস্বরূপ আদালত তাকে দিয়েছেন ২৫ কোটি টাকা।
Advertisement
২০১৪ সালে খুনের ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত সিগারেটের টুকরো থেকে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয়, এই খুন ক্যাথি করেননি। তারপর ২০১৫ সালে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।
বিনা অপরাধে ৩৫ বছর শাস্তি ভোগ করায় ক্যাথিকে ৩০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের আদালত। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
তিনি এই পরিমাণ টাকা পেলেও বিনা দোষে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠেই চলে গেছে তার জীবনের ৩৫টি বছর। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পর ক্যাথির আইনজীবী এলিজাবেথ ওয়াং বলেছেন, বিনা দোষে ক্যাথির জীবন থেকে যে ৩৫টি বছর চলে তার তুলনায় এ ক্ষতিপূরণ কিছুই নয়। তারপরও এ ক্ষতিপূরণ কিছুটা হলেও তার ক্ষতের প্রলেপ হলো।
Advertisement
২০১৪ সালে খুনের ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত সিগারেট থেকে পাওয়া ডিএনএ পরীক্ষার পর মাইকেল খুনের প্রকৃত অপরাধী কে তা জানতে পারে পুলিশ। জানা গেছে, রোডনে হ্যালবোয়ার নামের এক সিরিয়াল কিলারই সেই খুন করেছিলেন। মাইকেল ছাড়াও হ্যালবোয়ার নামের ওই সিরিয়াল কিলার আরও ছয় জন নারীকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন বলে সন্দেহ পুলিশের।
এসআর/এমকেএইচ