বিশ্বকাপটা খুব ভালো কাটেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। দেখা যায়নি তাকে স্বরূপে। ৩৩ পেরিয়ে এসে ফর্মের পতন তো যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ। তবে মাহমুদউল্লাহ লড়াই করে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। দেখালেন ব্যাটে এখনও মরিচা ধরেনি তার।
Advertisement
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টকে সামনে রেখে আজ (শুক্রবার) নিজেদের মধ্যেই লাল এবং সবুজ দলে ভাগ হয়ে খেলছেন অনুশীলন ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়রা। মূল উদ্দেশ্য লাল বলের ক্রিকেটের সঙ্গে ছয় মাসের বিচ্ছেদটা কাটিয়ে ওঠা। লাল দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং সবুজ দলের মুশফিকুর রহীম।
প্রথম দিন ব্যাটিংয়ে নেমেছে লাল দল। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমে গোল্ডেন ডাকে ফিরেন তিনি। যেহেতু প্রস্তুতি ম্যাচ, পরে আরও একবার ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব।
প্রথমবারে উইকেটে এসে তাসকিন আহমেদের ওভারে নিজের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। পরে আবার ব্যাটিংয়ে সাব্বির ৫৫ বলে ৩৪ রান করে আউট হওয়ার পর।
Advertisement
এবার ভালো শুরু করে ছন্দে থাকার ইঙ্গিত দেন তিনি। কভার ড্রাইভে দারুণ এক চার মেরে নিজের আত্মবিশ্বাসেরই জানান দেন সাকিব। কিন্তু তাইজুলের বলে লেগসাইডে ঘোরাতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে যান সাকিব। এ দফায় দুই চারের মারে ১৪ বলে ৯ রান করতে সক্ষম হন তিনি।
তবে এরপর দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লোয়ার অর্ডারের আবু হায়দার রনিকে নিয়েই জুটি গড়েছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ২৬৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৮১ বল মোকাবেলায় ১০ বাউন্ডারিতে ১০০ রানে পৌঁঁছান মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত আরিফুল হকের বলে তুলে মারতে গিয়ে কভারে ক্যাচ হয়েছেন তিনি। ১০৭ রান করেন ১৮৯ বলে, বাউন্ডারি ওই ১০টিই।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাল দলের সংগ্রহ ৭০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২১৬ রান। ৩৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত আছেন আবু হায়দার রনি। এর আগে জহুরুল ইসলাম ২৫ বলে ১৩, মোহাম্মদ মিঠুন ১৪ বলে ১ এবং লিটন কুমার দাস ৭৩ বলে ২৫ রান করে আউট হন।
উল্লেখ্য, লাল দলের সাকিবের দলের সৈন্যরা হলেন ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শফিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ মিঠুনসহ ক্যাম্পের আরও খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে সবুজ দলে মুশফিক রহীমের অধীনে রয়েছেন সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদ, ফরহাদ রেজা ও তাইজুল ইসলামরা।
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ