রাজনীতি

৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীর স্বাধীন : কাসেমী

ভারত ৩৭০ বাতিল করার পর কাশ্মীর স্বাধীন বলে দাবি করেছেন কাশ্মীর সংহতি ফোরামের আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

Advertisement

শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই দাবি করেন।

কাসেমী বলেন, ভারত ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার পর কাশ্মীর স্বাধীন। তারা এই ধারা প্রয়োগ করেও প্রমাণ করেছিল কাশ্মীর স্বাধীন রাষ্ট্র। এখন কাশ্মীরের মানুষ স্বাধীনতা চায়। আমরাও তাদের সহায়তার জন্য প্রস্তুত থাকব। তবে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

তিনি বলেন, ১৯৪৮ সালের ১৩ আগস্ট জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে বলা আছে, গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণ তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। এটাই প্রমাণ করে কাশ্মীর কখনও ভারতের অংশ ছিল না। এরপর ভারত তাদের সংবিধানে ৩৭০ ধারা সংযোজন করে কাম্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে আবারও প্রমাণ করে, সেটা তাদের অংশ ছিল না। এখন ৩৭০ ধারাই প্রমাণ করে কাশ্মীর আজাদ। কাম্মীরের জনগণ আজাদি চায়। তারা আজাদির জন্য লড়াই করছে। তারা স্বাধীনতা চায়। আমরাও তাদের স্বাধীনতার পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

Advertisement

সংহতি ফোরামের এই সমাবেশে অধিকাংশ ইসমামপন্থী দলের নেতা বক্তব্য দেন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. ঈসা শাহেদী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, কওমি কাউন্সিলের মাওলানা মুমিনুল হক, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলে হাজারো মুসল্লি অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার কাশ্মীরকে বিশেষ ক্ষমতা দানকারী দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্ত জানায়। শুধু তাই নয় কাশ্মীরকে ভেঙে রাজ্যের মর্যাদা থেকে নামিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করে। তারপর থেকে কার্যত গোটাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাশ্মীর।

এখন কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে। কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, অ্যক্টিভিস্টসহ প্রায় তিন হাজারের বেশি মানুষকে আটকও করা হয়েছে। কাশ্মীরের কারাগারগুলোতে জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় আটক অনেককে রাজ্যের বাইরের কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Advertisement

এইউএ/জেডএ/এমকেএইচ