মাতাল হয়ে রাজশাহীতে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে জুতাপেটা খেয়েছেন সাব্বির হোসেন (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজার এলাকায় এই কাণ্ড ঘটান তিনি। পরে এলাকাবাসী তাকে গণধোলায় দেয়। খবর পেয়ে আহত ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
Advertisement
অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নগর পুলিশের পবা থানায় কর্মরত ছিলেন। এক সময় পরিবার নিয়ে সাব্বির নগরীর ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এ ঘটনার পর তাকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে নগর পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় প্রতিদিনই ওই এলাকায় গিয়ে নারীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেন কনস্টেবল সাব্বির। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই এলাকার এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেন সাব্বির। এতে জুতা খুলে কনস্টেবল সাব্বিরকে পেটাতে শুরু করেন তরুণী। এ সময় তার সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্তের শিকার আরও কয়েক তরুণী। পরে এলাকাবাসীও যুক্ত হয়ে উত্তমমধ্যম দেয় তাকে।
Advertisement
প্রাণ বাঁচাতে বাসায় ঢুকে পড়েন তিনি। পরে ওই বাড়ি ঘেরাও করে এলাকাবাসী। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে আসে রাজপাড়া থানা পুলিশ। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে রাতেই ওই পুলিশ সদস্যের মাদক সেবনের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডোপ টেস্টের উদ্যোগ নেয় থানা পুলিশ। তবে ওই সময় টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় তা ভেস্তে যায়। পরে কনস্টেবল সাব্বিরকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তারা।
রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়দার আলী খান বলেন, রাতে তার ডোপ টেস্ট করা যায়নি। পরে বিষয়টি নগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারাই এনিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে রাতেই মাদক সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেন কনস্টেবল সাব্বির হোসেন। তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে একটু আধটু খান। আর নারীদের উত্ত্যক্তের বিষয়টি দুর্ঘটনা বলে দাবি করেন তিনি।
Advertisement
এ বিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কনস্টেবল সাব্বিরের বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। কিন্তু যেহেতু একটা অভিযোগ উঠেছে তাই তাকে থানা থেকে রাতেই প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/এমএস