নৌপথে রাজবাড়ী ও পাবনার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুট। কিন্তু পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ৩ দিন ধরে এ রুটে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুট দিয়ে নদী পারাপার হওয়া যাত্রীরা।
Advertisement
জানা গেছে, রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাজবাড়ী ধাওয়াপাড়ার জৌকুড়া ও পাবনার নাজিরগঞ্জ রুটে দুটি ছোট ফেরি এবং ইজারাদারের মাধ্যমে দুটি লঞ্চ চলাচল করে। কিন্তু পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ২৮ আগস্ট বুধবার থেকে ফেরিগুলো স্রোতের বিপরীতে চলতে পারছে না। ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে যাত্রী পারাপারে স্রোতের মধ্যে ঝুঁকি নিয়েই চলছে লঞ্চ ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার। লঞ্চ ও ট্রলারে প্রতিদিন ৫টি করে মোট ১০ট্রিপ মারা হয়।
এ রুট দিয়ে চলাচলকারীরা জানান, জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে যে দুটি ফেরি চলাচল করে তা অনেক পুরাতন এবং ছোট। নদীর স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা ওই ফেরির পক্ষে সম্ভব না। দুটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটে নতুন এবং বড় ফেরি প্রয়োজন। শুধু ফেরির এ করুন অবস্থা জেনে যানবাহন কম আসে এ ঘাটে।
এছাড়া এরুটে চলাচলকারী দুটি লঞ্চ রয়েছে। যা অত্যন্ত ছোট এবং লক্কড় ঝক্কড়। লঞ্চে উঠলে নৌকার মতো দোলে। পাশাপাশি নৌকায়ও যাত্রী পারাপার করা হয়। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই এ নিয়ে। এছাড়া ফেরি ঘাটের পল্টুনের অবস্থাও ভালো না। ফেরি, লঞ্চ ও নৌকা একই পল্টুনে ভেড়ে। যাত্রীদের বাথরুম, দাঁড়ানো বা বসারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
Advertisement
রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়ার জৌকুড়া লঞ্চ ঘাট ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে কয়েকদিন ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে সাবধানতা অবলম্বন করে যাত্রী পারাপারে তাদের লঞ্চ চলাচল করেছে। এরুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো পুরাতন হলেও মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে না পারায় দুর্ঘটনা এড়াতে জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ রুটে বুধবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। স্রোত কিছুটা কমলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু করা হবে। এছাড়া এ রুটে পারাপার হওয়া যানাবহনগুলো এখন লালন শাহ সেতু ব্যবহার করছে। আশা করা যায় আগামী রোববার নাগাদ ফেরি চলাচল শুরু করা যাবে।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এমএস
Advertisement