আন্তর্জাতিক

ব্রেক্সিট নিয়ে বিপাকে বরিস

যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের কিছু এমপি বলেছেন, তারা সরকারের সংসদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বদল করার জন্য একসঙ্গে কাজ করবেন। ফলে ব্রেক্সিট কার্যকরে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

Advertisement

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় আগামূ ৩১শে অক্টোবর। তার আগে ৫ সপ্তাহের জন্য (সংসদ স্থগিত রাখার ঘোষণা- দিয়েছে সরকার। অবশ্য সরকারের মন্ত্রীরা এখনও বলছেন সংসদ স্থগিত করার অর্থ সংসদের মুখ বন্ধ করা নয়।

ব্রিটেশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন, এটা কোন বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নয়, এটা আইনের শাসনেরই অংশ। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির জন ম্যাকডোনেল সরকারের এই পদক্ষেপকে একটি ‘ব্রিটিশ অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

লেবার পার্টির ছায়া অর্থমন্ত্রী জন ম্যাকডোনাল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে তার দল প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে স্বৈরশাসকের ভূমিকা পালন করতে দেবে না। তার মতো অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাই সংসদ স্থগিত করায় বরিস জনসসকে একনায়ক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

Advertisement

তিনি বলেছেন এই স্থগিতাদেশ বাতিল করার জন্য তার দল লেবার পার্টি প্রয়োজনীয় যত পদক্ষেপ আছে সবকিছু ব্যবহার করবে। তারা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সবরকম আইনি পথ ব্যবহার করে এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

ম্যাকডোনেল বলেছেন তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ‘নো-ডিল ব্রেক্সিটে’র বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের ভোট দেয়া ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। কনজারভেটিভ দলের দুজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

বরিস জনসনকে তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিজ দলের পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন স্কটল্যাণ্ডে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা রুথ ডেভিডসন। ব্রেক্সিট বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে ব্রিটেনে পরিচিত ব্যক্তিত্ব জিনা মিলার মি: জনসনের সিদ্ধান্তের আইনি পর্যালোচনার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন।

লেবার পার্টি একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। সরকারি এই সিদ্ধান্তের সমালোচকরা বলছেন, ব্রিটিশ এমপিরা যাতে ব্রেক্সিট নিয়ে কিছু বলতে না পারে তা রোধ করতেই এই সময়টাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেছে নিয়েছে সরকার।

Advertisement

সূত্র : বিবিসি বাংলা

এসএ/এমএস