ভারতে দুজন নেপালি গৃহকর্মীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত সৌদি কূটনীতিক নিজদেশে চলে গেছেন। কূটনৈতিক সুরক্ষার আওতায় তিনি ভারত ছেড়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দফতর জানালেও দিল্লিতে সৌদি দূতাবাস ওই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। একইসঙ্গে ওই কর্মকর্তার কূটনৈতিক সুরক্ষা অব্যাহতির অনুরোধও তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে ভারতে তার অপরাধের বিচার সম্ভব নয়। এদিকে ঘটনাটি সৌদি আরবে না ঘটায় সৌদি আইনেও তার বিচার হবে না।সৌদি ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের গুরগাঁওয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে তিনি দুজন নেপালি মহিলাকে টানা কয়েক মাস ধরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করেছেন। তাদের ওপর বিকৃত যৌন নির্যাতনও চালানো হয়েছে।৭ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় একটি এনজিও`র কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় এবং আটক দুই নেপালি মহিলাকে উদ্ধার করে। দিল্লির নেপাল দূতাবাসও গোপন সূত্রে এই নির্যাতনের খবর পেয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিল।উদ্ধার হওয়া দুজন নেপালি নাগরিক পুলিশকে জানান, ওই ফ্ল্যাটে প্রায় চার মাস ধরে তাদের আটকে রাখা হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে তাদের ওপর বহু লোক প্রায়ই লাগাতার ধর্ষণ করেছেন, তাদের নিয়মিত মারপিট করা হয়েছে।নেপাল থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মহিলা গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাড়ি দেন। কিন্তু তাদের অনেককেই অমানবিক পরিবেশে কাজ করতে হয় ও অকথ্য নির্যাতনের শিকার হতে হয় বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে।এই দুই নেপালি মহিলাও গত এপ্রিলে নেপালে ভূমিকম্পের পর কাজের সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি দেন বলে জানা গেছে। সৌদির জেদ্দায় দুই সপ্তাহ কাটিয়ে মনিবের সঙ্গে তারা ভারতে চলে আসেন। এরপরই ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সূত্র : বিবিসি।এসআইএস/এমএস
Advertisement