দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সারাদেশে পাঁচটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। এছাড়া দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের (হটলাইন- ১০৬) অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জেলা প্রশাসককে প্রেরিত অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Advertisement
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বণ্টননামা দলিল সম্পাদনে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মো. আল আমিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। টিম জানতে পারে, ওই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বণ্টননামা দলিলে মূল ওয়ারিশ ব্যতীত অন্য শরিকদের কাছ থেকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উৎসে কর গ্রহণ করা হচ্ছে না।
দুদক টিমের অভিযানকালে একজন অফিস সহায়ক গ্রাহকদের নিকট থেকে অবৈধভাবে গৃহীত এক হাজার নয়শ টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন। তিনি পরবর্তীতে সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেন।
Advertisement
এদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় কোদলা নদী দখলের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোরের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে দুদক টিম দেখে, প্রায় ১০০টি পুকুর কেটে মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কোদলা নদীর ২৫ কিলোমিটার অংশ দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। সেখানে মাছচাষ চলছে এবং গড়ে উঠেছে বসতি ও পাকা স্থাপনা।
এদিকে দিনাজপুর সদরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানকালে বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদি হিসেবে ব্যবহৃত ৩টি শ্যালো মেশিন এবং ১৫০ ফুট পিভিসি পাইপ আটক এবং ঘটনাস্থলেই পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।
নেত্রকোনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণ করতে তিন হাজার ৪৫০ টাকা লাগলেও ভোক্তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।
Advertisement
পরবর্তীতে জেলা কমান্ড্যান্ট, আনসার ও ভিডিপি, নেত্রকোনা ও সহকারী পরিচালক, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনগণকে হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদান নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও রাজধানীর একটি লেজার ফিজিওথেরাপি সেন্টারে বিপুল কর ফাঁকির অভিযোগে, অনিয়মের মাধ্যমে পিপিআর লঙ্ঘনপূর্বক ঠিকাদারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে এবং ব্রিজ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোর থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এমইউ/বিএ